• Archive Calendar

    সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
     
    ১০১১১২
    ১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
    ২০২১২২২৩২৪২৫২৬
    ২৭২৮  
  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • উদ্ভাবন

    অনিয়মই এখানে নিয়ম চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলস্টেশন

      শাহীন আহমেদ চট্টগ্রাম ষোলশহর প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১০:০৭:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    অনিয়মই এখানে নিয়ম! চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলস্টেশন এবং জিআরপি থানা সংলগ্ন এলাকায় রেলপুলিশের পাহারায় প্রকাশ্যে বসছে জুয়া ও গাঁজার আসর। জুয়ার আসর ও মাদকের বেচাকেনায় মাসে আয় লাখ লাখ টাকা। ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা ইনচার্জের দিকেই অভিযোগের যতো তীর।

    ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, জিআরপি পুলিশের জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাওয়ার কারণে ষোলশহর রেলস্টেশন এবং জিআরপি থানা সংলগ্ন চারপাশ অপরাধীদের অভয়ারণ্য ও মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

    পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে বশর কলোনিতে বসে রমজানের জুয়ার আসর। দুই-তিন রুমে প্রায় শ’খানেক লোকের আনাগোনায় চলে খেলা। পাশাপাশি স্টেশন সংলগ্ন জিআরপি থানার পাশে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের অফিসে দিন-রাত চলছে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা। জুয়ার আসর জমাতে চলে মাদক সেবন। এসব খেলার একটি অংশের ভাগ দিতে হয় ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা অফিসার কে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি জানান, ‘খেলা তো আর এমনি এমনি হয় না। বললে সমস্যা আছে। কিন্তু না বলেও পারছি না। এই টাকার ভাগ তাগোরে না দিলে তো খেলতে পারবো না। বড় অংশই পেটে ভরে ভাই। আপনি খোঁজ নেন, পাশে থাকা আরেক দোকানদার বলেন, ‘রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের ভেতরেই ঘোরাফেরা অপরাধীদের। পিচ্চিপাচ্চা যে কাউরে বললেই দেখিয়ে দেবে আসর।’ তাচ্ছিল্যের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এদের ধরার বদলে একসাথেই আসর জমায়। ওই যে কথায় আছে না রক্ষক যখন ভক্ষক।

    দোকানির সাথে কথা বলা অবস্থায় দোকানে আসা রিকশাচালক এরশাদ আলম বললেন, ‘আমি পাশের এলাকায় থাকি। সন্ধ্যায় আড্ডা দিতে এখানে আসি। একদিন না বহুদিন আমিও খেলছি। এটা নেশা হইয়া গেছে। বউয়ের ডরে ছাইড়া দিছি। আমিও বহুদিন দেখছি পুলিশগুলা টাকা নেয়। নজরে রাখেন। সব জলের মতো ক্লিয়ার দেখবেন।

    তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময় র‍্যাব ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালালেও থানা পুলিশের যেন কোন দ্বায়িত্ব নেই এলাকাটিতে। নেশায় আসক্ত ব্যক্তিরা প্রতিনিয়তই উশৃংখল আচরন করেন স্টেশন টিতে আসা লোকজনের সাথে। এছাড়াও স্টেশনটিতে আসা যাত্রী, শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের একা পেলেই চারদিক ঘিরে ধরে টাকা, মোবাইলসহ লুটে নেয় মূল্যবান সামগ্রী।

    পথচারী আকবর বললেন, এখানে আজকে অনেক বছর ধরেই আধিপত্য বিস্তার করে দাপটের সাথে ফাঁড়ি ও থানার সাথে সখ্যতা তৈরি করে চালাচ্ছে এই জুয়ার আসর ও মদের ব্যবসা, অভিযোগ রয়েছে, মদ ও জুয়ার আসর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতবদল হয়ে যায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এর হাতে, আর সেই টাকারই এক ভাগ চলে যায় তার উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে।

    চট্টগ্রাম ষোলশহর স্টেশনের দ্বায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার বলেন, স্টেশনের অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), তাদের দ্বায়িত্বে পড়ে নিরাপত্তার বিষয়টি। চলমান অপরাধ কর্মকান্ডগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এইসব বিষয় থেকে দূরে থাকি। তবে আমি শুনেছি মাঝেমধ্যে পুলিশ এসে অভিযান করে জোয়ার আসরে। তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করি এসব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে। (আরএনবি) এর আগে চিঠিপত্র দিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে। এখন ব্যবস্থা নেওয়া তাদের দ্বায়িত্ব।

    এবিষয়ে পাঁচলাইশ থানাকে অবগত করলেও লোকদেখানো অভিযান এবং অনেকটা চোর-পুলিশ খেলার মতো বিষটা।

    অন্য দিকে পাঁচলাইশ থানার ওসি তদন্ত সাদেক বলেন,আমিতো জানতাম না, তবে আজকে পুলিশ পাঠাবো।এ বিষয়ে পাঁচলাইশ জোনের এসি বেলায়েত সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এসবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলি। কয়েক দিন আগে আমার কাছে এবিষয়ে অভিযোগ এসেছিল, আমি পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম, কিন্তু কাওকে পায়নি, আমি আবারও ব্যবস্থা নিব।

    আরও খবর

    Sponsered content