• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • উদ্ভাবন

    পঞ্চগড়ে ঘটনার ৮ দিন পর পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং করেছেন

      বিপ্লব হোসেন , পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: ১১ মার্চ ২০২৩ , ২:১৬:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সালানা জলসাকে কেন্দ্র বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযেগ ঘটনার আট দিন পর পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিং করেছেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার ৮ দিন পর পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা তাঁর অফিস কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।
    পুলিশ সুপার স্বীকার করেন একটি প্রশিক্ষিত দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত ঘটনা। আগুন জ্বালানোর জন্য ছিল গান পাউডার ও প্রেট্রোল। প্রাণহানি এড়াতে ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। তাৎক্ষণিক অ্যাকশানে গেলে প্রাণহানি বাড়তো এবং এ ঘটনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তো। সালানা জলসায় আট হাজারের বেশি আহমদিয়া সদস্য অবস্থান করছিল। চার পাশ থেকে ৭/৮ হাজার মানুষ আক্রমণ চালায়। এ সময় পুলিশের ১৭০ জন, র‌্যাবের ৬৪ জন এবং ৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছিল। ইতিমধ্যে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় ১১টি ও বোদা থানায় ২টি। ১৩টি মামলায় এ পর্যন্ত ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩টি মামলার মধ্যে পুলিশ বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারটি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। অন্য মামলাগুলো ক্ষতিগ্রস্তরা দায়ের করেছেন। এসম মামলায় নাম ঠিকানা উল্লেখ করা ছাড়াও ১০/১১ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।
    তিনি বলেন, যারা ঘটনায় জড়িত তারাই আতঙ্কে থাকবে। সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমাদের কাছে ঘটনার পর্যাপ্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্টিল ছবি আছে। এসব দেখে গোয়েন্দাদের তথ্যের ওপর খোঁজ খবর নিয়েই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের তৎপরতার কারণে হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে এ ঘটনায় দায়ের কোন মামলায় কোন সাধারণ মানুষজনকে হয়রানি করা হচ্ছে না ।
    তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে পঞ্চগড়ে যে বর্বরোচিত নাশকতার কান্ড ঘটানো হয়েছে, সেই ঘটনায় পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আহত হয়েছেন। হামলা করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ অফিস। হামলাকারীরা একজন বৃদ্ধ পুলিশ সদস্যকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে পঞ্চগড়ের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
    শুরুতে পুলিশ সুপার স্পর্শকারতর বিষয়ে কোন প্রশ্ন না করতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
    প্রেস ব্রিফিংয়ে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

    আরও খবর

    Sponsered content