• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • উদ্ভাবন

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাঠির ছন্দে মাতোয়ারা দর্শক

      ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি: ২৬ মার্চ ২০২৩ , ১:৫৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।লাঠির ছন্দে আনন্দে হারিয়ে যেতে বসা প্রাচীন এই খেলা দেখে দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে খেলোয়াড়দের অভিবাদন জানান। সেইসঙ্গে এই খেলাটিকে ধরে রাখার জন্যেও দাবি জানান তারা। এদিকে আয়োজকরা জানান, ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটিকে ধরে রাখার জন্যে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারা। ভিন্ন মাত্রার ঢোলের তাল আর রঙ্গ বেরঙ্গের লাঠি হাতে লাঠিয়ালদের ক্রীড়া নৈপুণ্য ছন্দের তাল আর জারি গানের সুরের মূর্ছনায় দর্শকরা যেন কিছুক্ষণের জন্যে হারিয়ে গিয়েছিল এক অপার্থিব আনন্দলোকে। মন মাতানো ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখে দর্শকরা মুহুমুহু করতালি দিয়ে তাদের উৎসাহ যোগান।

    খেলা চলাকালে উপস্থিত দর্শকরা মনমাতানো এই ঐতিহ্যবাহী খেলাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানান।নিয়ামুল নামে এক দর্শক বলেন, এই খেলা আমাদের জেলার ঐতিহ্য। লাঠিখেলা এখন দেখা যায় না বললেই চলে। এই খেলাটি আমাদেরকে ভিন্নরকম একটি অনুভূতি দেয়। আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী খেলাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
    শারমীন সুলতানা নামে আরেক দর্শক বলেন, লাঠিখেলা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য। আমাদের এই ঐতিহ্য ধরে রাখা অবশ্যই অনেক প্রয়োজন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই খেলার সঙ্গে হয়তো পরিচিতই হবে না। আজকে আমি আমার মেয়েকে এখানে নিয়ে এসেছি লাঠিখেলা দেখানোর জন্য। সে প্রথমবারের মতো লাঠিখেলা দেখেছে। এ লাঠি খেলা যেন হারিয়ে না যায় সেটিকে ধরা রাখার জন্য আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মনির হোসেন বলেন, লাঠিখেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবহমান কাল থেকে হাজার বছরের সংস্কৃতির অংশ। এটি আমাদের অহংকার। এটি হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বারবার চায় লাঠিখেলা যেন আরও বিকশিত হয়। সেজন্যই প্রতিবারই এই খেলা আয়োজন করেন তারা। এই কৃষ্টি বাঁচলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাঠির ছন্দে মাতোয়ারা দর্শক
    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলায় নৈপূণ্য দেখাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। ছবি: সময় সংবাদ
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলায় নৈপূণ্য দেখাচ্ছেন
    লাঠির ছন্দে আনন্দে হারিয়ে যেতে বসা প্রাচীন এই খেলা দেখে দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে খেলোয়াড়দের অভিবাদন জানান। সেইসঙ্গে এই খেলাটিকে ধরে রাখার জন্যেও দাবি জানান তারা। এদিকে আয়োজকরা জানান, ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটিকে ধরে রাখার জন্যে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারা।
    ভিন্ন মাত্রার ঢোলের তাল আর রঙ্গ বেরঙ্গের লাঠি হাতে লাঠিয়ালদের ক্রীড়া নৈপুণ্য ছন্দের তাল আর জারি গানের সুরের মূর্ছনায় দর্শকরা যেন কিছুক্ষণের জন্যে হারিয়ে গিয়েছিল এক অপার্থিব আনন্দলোকে। মন মাতানো ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখে দর্শকরা মুহুমুহু করতালি দিয়ে তাদের উৎসাহ যোগান।
    খেলা চলাকালে উপস্থিত দর্শকরা মনমাতানো এই ঐতিহ্যবাহী খেলাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
    আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মেয়েদের জমকালো ফুটবল ম্যাচ
    নিয়ামুল নামে এক দর্শক বলেন, এই খেলা আমাদের জেলার ঐতিহ্য। লাঠিখেলা এখন দেখা যায় না বললেই চলে। এই খেলাটি আমাদেরকে ভিন্নরকম একটি অনুভূতি দেয়। আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী খেলাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
    শারমীন সুলতানা নামে আরেক দর্শক বলেন, লাঠিখেলা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য। আমাদের এই ঐতিহ্য ধরে রাখা অবশ্যই অনেক প্রয়োজন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই খেলার সঙ্গে হয়তো পরিচিতই হবে না। আজকে আমি আমার মেয়েকে এখানে নিয়ে এসেছি লাঠিখেলা দেখানোর জন্য। সে প্রথমবারের মতো লাঠিখেলা দেখেছে। এ লাঠি খেলা যেন হারিয়ে না যায় সেটিকে ধরা রাখার জন্য আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মনির হোসেন বলেন, লাঠিখেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবহমান কাল থেকে হাজার বছরের সংস্কৃতির অংশ। এটি আমাদের অহংকার। এটি হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বারবার চায় লাঠিখেলা যেন আরও বিকশিত হয়। সেজন্যই প্রতিবারই এই খেলা আয়োজন করেন তারা। এই কৃষ্টি বাঁচলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।
    আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে কাবাডি টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
    লাঠিখেলা দলের দলনেতা ও মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, উৎসবে পার্বণে এবং জাতীয় দিবসে এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন তারা। এই খেলার সারাদেশে সুনাম রয়েছে। সেই সুনামকে ধরে রাখার জন্যই আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে যেন টিকিয়ে রাখা হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি এই খেলাকে সবাই ধরে রাখবে।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, সারাদেশের মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যেভাবে চিনে সেটি ঠিক নয়, কেননা ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে সংস্কৃতির জেলা। এখানে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যের পীঠস্থান। এখানে লাঠি খেলা, মোরগ লড়াই, মলয়া সংগীতসহ নানা ঐতিহ্য রয়েছে। এ ঐতিহ্যকে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করে যাব। আমি যতদিন থাকব এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
    বর্ণাঢ্য লাঠি খেলায় ১৫ জন বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড় অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পুরষ্কৃত করা হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content