• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী ভরাখালে ড্রেন নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর

      এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও প্রতিনিধি: ২৯ মার্চ ২০২৩ , ১:০১:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    দখল ও ভরাটে বিপন্ন ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী (বাইন্যা) ভরাখালে ড্রেন নির্মানের দাবী জানান এলাকাবাসী। দীর্ঘকাল ধরে দেখার কেউ না থাকার খালের উপর ঘরবাড়ীসহ দোকানপাঠ নির্মানের হিড়িক পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার আশংকা প্রকাশ করে স্থানীয় লোকজন।

    সূত্র মতে, কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওর বৃহত্তর মাইজ পাড়ার গ্রামীন খালটি এখন ভরা খালে পরিণত হয়ে পড়েছে। এ খাল দিয়ে একসময় পাল তোলা নৌকা চলাচল করত। বর্তমানে খালের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। চলছে একের পর এক খাল দখলের মহোৎসব। কালের পরিক্রমায় সে খালের বুকে এখন পাকা-আধা-পাকা দালানে সমারোহ। দখলের থাবায় খাল এখন নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। খাল দিয়ে সুষ্ঠভাবে পানি চলাচলের লক্ষে ড্রেন নির্মানের জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

    দেখা যায়, ঈদগাঁও মেহেরঘোনা জলনাসী যেটি উত্তর-মধ্যমসহ দক্ষিন মাইজপাড়া হয়ে চৌফলদন্ডীর বুকচিরে মহেশখালী চ্যানেল দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়। এখন সে চির চেনা বৃহৎ এলাকার খালটি নানাভাবে বেদখলে চলে গেছে। কেউ করে খালের পাশ ঘেঁষে দালান কেউ করে দোকান ঘর,কেউবা খালের মুল অংশ পর্যন্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে রেখে। ফলে খালটি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। পূর্বের মত খোলাসা খাল আর নেই। এমনকি অনেকে খালের মাঝ অংশে মাটি ফেলে ঘিরে রাখে। অন্য অংশ দিয়ে পানি নিস্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে।

    স্থানীয়রা জানান, এখন খাল বেদখল, পানি ও মাছ শুন্য। ক্ষীণধারা বয়ে যাওয়া খালে দুই ধারে এখন গড়া দোকান পাট এবং পাকা দালান। দখল আর দূষণের থাবা থেকে খালটি কে মুক্ত করে খনন করা না হলে আগামীতে এসব খালের কোন স্মৃতি চিহ্ন খোঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রতিবর্ষা মৌসুমে পানি সুষ্টভাবে চলাচল করতে না পারায় দু-কুলই পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে। পানি যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে সারাক্ষন পানিবন্দি থাকে হাটা চলার পথও।

    বয়োবৃদ্বের মতে, এটি একসময়ে বড় খাল ছিল। খাল দিয়ে নৌকা সাম্পান চলাচল করতো মাছও পাওয়া যেত বলে শুনেছেন তিনি। অব্যবস্থাপনা কারণে পানি প্রবাহ হারানো খাল এভাবে দখলে চলে যাচ্ছে।

    সচেতন মহল জানান,অবিলম্বে এ ভরাখালসহ ছড়াখাল দখলমুক্ত করে খননের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা না গেলে এসব খাল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। বন্যা ও জলাবদ্বতাসহ নানামুখী দূর্ভোগের কবলে পড়বে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন। উত্তোরনে এ খাল ড্রেন নির্মান জরুরী বটে।

    স্থানীয় সাবেক মেম্বার ছুরুত আলম জানান, গত বহু বছর পূর্বে ঈদগাঁওর বৃহৎ মাইজ পাড়ার বাইন্যাখালটি খননের মাঝপথে বাঁধা আসায় খনন না করে কৌশলে সটকে পড়েছিল খননের কাজে নিয়োজিত লোকজন। তবে এই পুরনো খালে যদি পানি চলাচলের লক্ষে ড্রেন নির্মান করে তাহলে বৃহত্তর এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

    পরিবেশ সচেতন ব্যাক্তি কামরুল এহসান বাবু ও পথচারী আবদুল হালিম জানান, বৃহত্তর মাইজ পাড়ার ঐতিহ্যবাহী ভরাখালটি খনন করে যদি ড্রেন নিমার্ন করা হয় তাহলে উপকৃত হবে লোক জন।

    আরও খবর

    Sponsered content