• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    লামা’য়-ফাইতংয়ে অবৈধ করাতকল গিলে খাচ্ছে সবুজ বন

      ইসমাইলুল করিম লামা প্রতিনিধি: ৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৬:২৯:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    সরকারের অনুমোদন ছাড়াই ফসলের জমি ভরাট করে। করাতকল স্থাপনে লাইসেন্স নিতে হয় বন বিভাগ থেকে। লাগে পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র। মানতে হয় আরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিমালা। পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলায় ফাইতং ইউনিয়ন ৪টি করাতকল থাকলে ১টি মাত্র বন বিভাগ লাইসেন্স আছেন, আরো ৩টি লাইসেন্স ছাড়া স’মিল (করাতকল) চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা। এসব মিলে সাবাড় হচ্ছে বনজ ও নানা প্রজাতির গাছ ফলজ’সহ এসবের কোনো তোয়াক্কা নেই। নিয়ম-নীতি না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ করাতকল। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশের এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা এসব করাতকলে হরহামেশা চেরাই করা হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের।

    এমন অভিযোগ (০৫ এপ্রিল) বুধবার বিকালবেলা সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ‘মাসোহারা’ দিয়ে এসব করাতকল পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিকে এবিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পর, যত্রতত্র অবৈধ করাতকল স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, করাতকল বিধিমালা-২০১২ তে বলা আছে, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না কোথাও।

    সরেজমিনে অনুসন্ধান উঠে আসে ফাইতং ইউনিয়নের বাজার পূর্বে পাশে এলাকায় ২টি অবৈধ করাতকলে বনের গাছ চেরাই করতে দেখা গেছে। এ দুইটি করাতকলের মধ্যে কোনোটিরই নেই লাইসেন্স। স্থানীয়দের অভিযোগ, লামার ফাইতং মাঝামাঝি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে এসব অবৈধ করাতকল গড়ে ওঠায় সহজেই সেখান থেকে কাঠ এসব করাতকলে আসে। এরপর কাঠ চেরাই হয়। সেই কাঠ দিয়ে ফার্নিচারসহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বেশিরভাগ সময় রাতে ট্রাকযোগে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কাঠ আসে। অবৈধ হওয়ায় এসব করাতকলে হিসাব হয় না যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কী পরিমাণ কাঠ আসে। মাঝেমধ্যে উপজেলা প্রশাসন এসব কাঠ করাতকলে আসার সময় আটক করে। তবে বেশিরভাগ সময় কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই বনাঞ্চল থেকে কাঠ এসে অবৈধ করাতকলে চেরাই হচ্ছে।

    জানতে চাইলে ফাইতং ইউনিয়নের এলাকার অনুমোদনহীন করাতকলের মালিকরা বলেন, সবাই যেভাবে পরিচালনা করছে, আমিও সেভাবে করছি। এখানে তো একটা করাতকলেরও লাইসেন্স নেই। তবে আমরা অনুমোদন নেওয়ার জন্য ফাইল রেডি করছি। এখনো জমা দেইনি। লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক আছে। তাই তেমন সমস্যা হয় না। তবে প্রতিমাসে উৎকোচ হিসেবে প্রশাসন, ডিএফও, রেঞ্জারকে টাকা পাঠিয়ে দিতে হয়।

    ফাইতং ইউনিয়নের বাজার পূর্বে পাশে এলাকার অনুমোদনহীন করাতকলের মালিক আলা উদ্দিন বলেন, আপনি কে আমি চিনি না এবং ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে রাজি না।

    এ ব্যাপারে ফাইতং-আজিজ নগর বন বিভাগ দায়িত্বগত কর্মকর্তা রেজাউল করিম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করাতকল চলমান বিষয়টি স্বীকার করেন, এদের বিষয় (গত ৩০ তারিখ) বান্দরবান ডিসি অফিসে মিটিং হয়েছে। ওখান থেকে তারাতাড়ি ব্যবস্থা ও অবৈধ উচ্ছেদ এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।করাতকল দুইটা জন্য আবেদন করছে দুইটি লাইসেন্স প্রক্রিয়াদিন আছে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content