• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    লামায় মরিচ হলুদের গুড়ার নামে কী খাচ্ছে মানুষ

      ইসমাইলুল করিম লামা প্রতিনিধি: ৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:০০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মরিচ হলুদের গুড়ার নামে কী খাচ্ছি আমরা? প্রতিনিয়ত বাজার থেকে হলুদ ও মরিচের গুড়া কিনে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না মরিচ হলুদের গুড়ার নামে কী খাচ্ছে জনসাধারণ । (৭ এপ্রিল) শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মরিচের মিলে অভিযান চালানোর পর জানা গেল মরিচের সঙ্গে ইটের গুড়া, ভুসি, ধানের কুড়া, মিক্স করে বিক্রি করা হচ্ছে।

    পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নে চাম্বি মফিজ বাজারের শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে মরিচের মিলে গুড়া মরিচের সাথে ইটের গুড়া, ভুসি, ধানের কুড়া, মিক্স করে বিক্রি করার সময় তাপস সেনগুপ্ত (প্রকাশ সঞ্জয়) নামের এক মিল মালিককে হাতে নাতে ধরলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

    জানা গেছে, এই এলাকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার জেলাতে সাধারণত মেজবানের জন্য এসব মিল থেকেই বেশি পরিমাণে মসলা সরবরাহ করা হয়। এছাড়া বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো অনুষ্ঠানেও মসলা সরবরাহ করার অর্ডার পেয়ে থাকে তারা। এর বাইরে খুচরা ও পাইকারিভাবেও হলুদ-মরিচের গুড়াসহ মসলা বিক্রি আসছে।

    বাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তিনি প্রায় ৭/৮ বছর যাবত হলুদ ও মরিচের গুড়া বিক্রয় করা যাচ্ছেন তাপস সেনগুপ্ত।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রমজান এলেই এ ধরনের ভেজাল মসলার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আবার এসব ভেজাল মসলার বড় ক্রেতা হলো বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁগুলো। সরাসরি মিলমালিকদের কাছ থেকে তারা পাইকারি দামে এসব মসলা সংগ্রহ করেন। হোটেল রেস্তোরাঁয় এসব ভেজাল মসলা ব্যবহারের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের হানি ঘটছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় স্বীকার বলেন, তিনি আর এই ব্যবসা করবেন না, তাকে এবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়া হোক।

    বাজার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সে যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার যোগ্য নয়, উপজেলা প্রশাসন এবং থানাতে অবহিত করেছি আশা করি তারা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম উদ্দীন কোম্পানি বলেন, এলাকায় এই ধরনের খাদ্য ভেজাল মেনে নিতে পারছি না, আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

    লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে আমরা সেই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

     

    আরও খবর

    Sponsered content