• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    লোহাগাড়া পুটিবিলা হাঙ্গর খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে বালু কেখো ইকবাল মেম্বার

      কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম: ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:০৯:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা হাঙ্গর খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু কেখো ইকবাল মেম্বার তার বেপরোয়া অত্যাচারে ভাঙছে খালের উপর নির্মিত ব্রিজ, কালভার্ট, খালপাড়, মানুষের ঘরবাড়ি। বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ।
    বালু কেখো ইকবাল মেম্বার ইচ্ছেমতো বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এই ইকবাল মেম্বারের নেতৃত্বে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সরকারের অনুমোদন ছাড়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে লেয়ারের নিচের বালু উত্তোলনের কারণে খালের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে হাঙ্গর খালের ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হতে পারে কয়েকটি গ্রাম। উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের নয়া পাড়ার ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছ কয়েকটি ব্রিজ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ব্রিজের ৫০০ মিটারের মধ্যে খাল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থাকলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইকবাল মেম্বার সহ প্রভাবশালী কয়েকজন লোক সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে।প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি চলে এখানে। প্রতি গাড়ি থেকে তারা নেয় ৭০০ টাকা করে। আর এতে প্রতিদিন আয় করছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা করে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, সর্বনাশা বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এই বিষয়ে( ইউ এন ও)মহোদয় এবং (এসিলেন্ড)মহোদর জানেন।আরও জানা গেছে, বালু কেখো ইকবাল মেম্বার আরো প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় স্থানীয়রা মুখ খুলতে পারছে না। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নোয়া পাড়া মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা। জানা গেছে, এ অঞ্চলের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাটি খেকো ইকবাল মেম্বার

    এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বালু কেখো ইকবাল মেম্বার ইকবাল মেম্বার বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে বালু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সরকারি নিয়ম মেনে আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে গিয়ে একটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করি। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয়রা জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে লোকদেখানো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়। কিন্তু জোরালো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে বালু ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্রমান্বয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়বে তিন গ্রামের মানুষ।

    আরও খবর

    Sponsered content