• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • সারাদেশ

     পটিয়ার শ্রীমাই বালু মহালের কারণে হুমকিতে ৫শ পরিবার।

      প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৪৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-

    চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই খালে বালু উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসক রাজস্ব শাখা যাচাই-বাছাই না করে মনগড়া ইজারা নিলাম দেয়ার কারণে আসন্ন বর্ষার প্রবল  বর্ষনে  ভেসে যেতে পারে খাল পাড়ের অধিবাসী পারিগ্রাম সূত্রধর পাড়ার ৫শ পরিবার। শ্রীমাই খালের ভাঙ্গনে সূত্রধর পাড়ার শতাধিক পরিবার গৃহ হারা হওয়ার পর বিগত ৫ বছর পূর্বে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এম,পি প্রশাসন ও লোকজনের সহযোগিতায় খালের মোহনা অন্যত্র ফিরিয়ে দিয়ে পারিগ্রাম সূত্রধর পাড়ার লোকজনকে রক্ষা করে। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক রাজস্ব শাখা সূত্রধর পাড়ার পার্শ্বে প্রবাহিত শ্রীমাই খালে বালু উত্তোলনের জন্য শ্রীমাই বালু মহল-২ নাম দিয়ে ইজারা নিলাম দেয়। এতে ইজারাদার বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে স্থানীয় পাড়ার লোকজনের বাড়ী ঘরের পার্শ্বে গর্ত হওয়ায় পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতে খালের ভাঙ্গনে সূত্রধর পাড়ার লোকজন প্রতিবছর গৃহ হারা হতে থাকে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য এলাকার লোকজন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এম,পি’র কাছে স্মরণাপন্ন হলে তিনি সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া খালের উপরিভাগে ওয়াহেদুর পাড়া নামক স্থানে বাঁধ দিয়ে সূত্রধর পাড়া থেকে ৫শ ফুট দূরবর্তী স্থানে খাল খনন করে খালের প্রবাহ ফিরিয়ে দিয়ে সূত্রধর পাড়ার লোকজনকে রক্ষা করে। জেলা প্রশাসক রাজস্ব শাখা উক্ত স্থানে বালু মহাল ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখে। বর্তমানে পুনরায় জেলা প্রশাসক রাজস্ব শাখা উক্ত শ্রীমাই বালু মহাল-২ নিলামের জন্য ১৪২৯ ও ১৪৩০ বাংলা সনে গত ২৩ মার্চ বালু মহাল ইজারা দরপত্র আহবান করেন। এতে মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম ট্রেডার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডার প্রাপ্তি হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রফিকুল আলম উক্ত স্থানে বালু উত্তোলন প্রক্রিয়া করতে গেলে এলাকার লোকজন জানতে পেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। সূত্রধর পাড়ার বাবুল সূত্রধর জানান, হুইপ সাহেব খালের মুখ ফিরিয়ে দিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করেছে গত ৫ বৎসর খালের ভাঙ্গনে হারিয়ে যাওয়ায় জমি গুলো আমরা ফিরে পেয়েছি। বর্তমানে সেখানে চাষবাস চলছে। এ অবস্থায় বালু উত্তোলনের জন্য আবার যদি নিলাম দেয়া হয় পুনরায় আমরা বাড়ী-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো। আমরা এলাকাবাসী উক্ত বালু মহাল ইজারা বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি। উল্লেখ্য ১১নং শর্তানুযায়ী সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশে ও ১২নং শর্তানুযায়ী মেশিন এবং স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ রয়েছে।

    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইজারা দরপত্র সম্পর্কে আমার জানা নেই। সমস্যা জনিত বিষয়ের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content