• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • নাগরিক সংবাদ

    স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

      প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:৫৬:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    জেলা প্রতিনিধি বরগুনাঃ

    গোপনে স্বামীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে ব্লক মেইল, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী ওই স্বামী। মামলার দরখাস্তটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালীকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারী তারিখ (বৃহস্পতিবার )(সাইবার অপরাধের ২৫,২৬,২৯,৩৪,৩৫ ধারায়) ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বরগুনা সদর উপজেলার ৪নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আয়লা আদাবাড়িয়া গ্রামের ওসমান গণি মৃধার ছেলে নুর হোসেন ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।মামলার একমাত্র আসামী হলেন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপধন গ্রামের মোঃ কামাল হোসেনের মেয়ে ও বাদী নুর হোসেন ইমামের স্ত্রী মোসাঃ নাসরিন (রুহি)।

    মামলার বাদী নুর হোসেন ইমাম বলেন, আমার স্ত্রী নাসরিন রুহি গোপনে আমার নগ্ন ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করে আসছিলো। সর্বশেষ আমার স্ত্রী আমার নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করে, আমি এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেজবুকে) ছড়িয়ে দেয়। পরে আমি বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে ন্যায় বিচারের আশায় আদলতে মামলা দায়ের করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দিয়ে আমার মান-সম্মানেরহানী করেছে, যা সাইবার ক্রাইম অপরাধ।এ বিষয়ে মামলার আসামির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায় নি। পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালীর কর্মকর্তা সুজন দাস বলেন মামলা তদন্তধিন আছে। নুর হোসেন ইমাম আরো বলেন রুহি হিসেবে সবাই যাকে চিনে আসলে এটা ওর ছদ্মনাম কখনো রুহি কখনো মোহনা,মুক্তা,নাদিয়া,আসল নাম নাসরিন ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ফেসবুকে তারপর বন্ধুত্ব তারপর প্রেম অতপর বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।আমি আমার মায়ের কথায় বিবাহ করি এবং রুহি বলেছিলো ওর একটা পরিচয় দরকার মানুষ খারাপ বলে এরকম প্রেমের সম্পর্ককে, আমি ও রাজি ছিলাম কিন্তু আমি মানুষটাকে ভালবেসেছিলাম। চেয়েছিলাম নিজেকে গুছিয়ে নিবো ও যেমনটা হোক ওর যত খারাপ অতীতই থাকুক না কেনো মানুষ পরিবর্তন শীল এই ভেবে অতীত কে গুরুত্ব না দিয়ে ভবিষ্যৎ কে চিন্তা করে যে ভবিষ্যৎ ভালো হবেই আল্লাহ ভরসা সেই ভেবে বিয়েটা করে ফেলি। কিন্তু আমি এটা ভাবতে পারি নি সে আসলে আমার লাইফে এসেছিলো আমার ক্যারিয়ার ধুয়ে মুছে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য। এটাও বুঝতে পারি নি সে একজন ব্লাকমেইলার চক্রের সক্রিয় সদস্য।তবে বিয়ের পরের দিন আমার কাছে স্বীকার করেছিলো বলছিলো ইমাম তোমাকে সব কথা বলা যাবে না তাহলে তুমি হয়তো আমার সাথে সম্পর্কই রাখবে না,আমি জানতে চাইলাম কি বলো, বললো হ্যা তোমার সম্পর্কে সবাই যেমন বলছে তুমি আসলে তেমন না তুমি অনেক ভালো। তবে তোমার অনেক শত্রু। তখন কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে যাই কিন্তু নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলাম আসলে ভালবাসতে হবে ভালবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা সম্ভব। সম্পর্ক কিছুদিন ঠিক থাকলে ও ধীরে ধীরে সম্পর্ক দুরত্ব বারতে ছিলো। আমি ও তার জীবন সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম একটার পর একটা ঘটনা শুনে আমি রীতিমতো অবাক হচ্ছিলাম কিন্তু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমার সাথে ও শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে এতকিছু হয়তো বলে শেষ করা সম্ভব না তবে সে একসময় পতিতাবৃত্তি করতো এটাই তার মূল কাজ ছিলো এবং বিবাহের পর সে এই কাজ গুলো চালিয়ে যাচ্ছিলো এবং মানুষ ব্লাকমেইল করা তার প্রধান নেশা ছিলো আসলে পতিতাবৃত্তি তার একটা নেশা হয়ে গেছিলো। তার সাথে জড়িত থাকতো তার মা,তার মায়ের বোন তার নানা এবং তার নানি একজন ভালমানুষ হলে সে কোন কিছু দেখে ও না দেখার ভান করতো। তার মায়ের ও তিন চারটার মত বিয়ে হয়েছিলো এবং এই রুহির ও এর আগে বিয়ে হয়েছিলো। ফেসবুক আইডি ব্যাবহার করে বিভিন্ন ছেলে এবং বয়স্ক পুরুষদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও অবৈধ সম্পর্ক তৈরী করতো এইসব বিষয় নিয়া আমার সাথে বহু বার ঝগড়া বিবাদ ও হইছে কিন্ত সবসময় আমি ব্লাকমেইল এর স্বীকার হতাম। আমি বেশী কথা বললে আমার আজে বাজে ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে আমি একটা সময় এসে চুপচাপ হয়ে যাই আসলে আমার ভিতর কি চলতে ছিলো সেটা একমাত্র আমি ই বুঝতেছিলাম। পৃথিবীতে সব মানুষ ভালবাসা পাওয়ার বা ধরে রাখার যোগ্যতা রাখে না।পৃথিবীতে সত্যি কারের ভালবাসার মূল্য ও নাই।

    আমার কাছে যত প্রমান পত্র ছিলো আমি দিয়েছি আপনাদের আর প্রমান আমার চোখ আমি যা দেখেছি যা শুনেছি।আর তাদের অবৈধ ভাবে ইনকাম করা টাকার পরিমান অনেক।মানুষকে ব্লাকমেইল করে এই অর্থের পাহার গড়েছেন।বিয়ের ৬ মাস পরে আমার কাছে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যায়।আসলে মানুষ যে কতটা জঘন্য হতে পারে কতটা খারাপ হতে পারে সেটা হয়তো এদের সাথে পরিচয় না হলে বুঝতাম ই না।আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুস্পষ্ট বিচার এর আশায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আমি আশা করি আল্লাহ আমাকে সঠিক বিচার একদিন দেখাবে।তবে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি এটা চাই যাতে করে আমার মতো আর কেহ এই ব্লাকমেইলার এর খপ্পরে না পরে সেই ব্যাবস্থা করুন।

     

    আরও খবর

    Sponsered content