প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২৪ , ১:০৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহ সদরের বোররচরে জয়নব বেগম (৬৫) হত্যাকান্ডে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যে বোররচরসহ আশপাশ এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো – মন্তাজ আলী, ইস্রাফিল, রিয়াদ হাসান, জোবায়ের হোসেন, শ্যামল মিয়া, মোহামাদ আলী ও কবির। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ- ২২/০৩/২০২৪, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/৫০৬(২) পেনাল কোড।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সদর এলাকার বোররচর মৃধাপাড়ার জালাল মিয়াদের সাথে রব্বানী, নুর মোহাম্মদ, মোতালেব, বিল্লাল মন্তাজ, ইস্রাফিল নামীয়দের সাথে পূর্ব বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। উক্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২২ মার্চ, শুক্রবার বোররচর মৃধাপাড়ায় (ডিগ্রীপাড়া), রব্বানী, নুর মোহাম্মদ ও মোতালেবের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জালাল মিয়ার বসত বাড়ীতে গিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং গালমন্দ শুরু করে।
জালাল মিয়া ও তাদের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় উপরোক্ত চক্রটি আরো ক্ষিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে চক্রটি বেপরোয়া হয়ে জালাল মিয়াকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে জালালের ভাবী জয়নব বেগম এগিয়ে এসে আসামীদের ফিরানোর চেষ্টা করে। চক্রটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে
জয়নবকে মারধর এবং হত্যার চেষ্টায় গুরুতর আহত করে। এ সময় জালালের চাচাতো ভাই কাইল্ল্যা এগিয়ে এসে তার ভাবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে চক্রটি তাকেও হত্যার চেষ্টায় মারাত্মক আহত করে। একইভাবে চক্রটি মিলন ও কালাকে রক্তাক্ত কাটা জখম করে। এসময় জয়নব বেগম ঘটনাস্থলে মারা যায়। মিলন ও কালাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে প্রভাবশালী চক্রটি ত্রাস সৃষ্টি করে জালাল মিয়ার ঘরের বেড়া, চাচা আদম আলী ও চাচী আনুরার ঘরের দরজা কুপিয়ে প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জালাল মিয়া বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় উপরোক্ত মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইকবাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত মন্তাজ আলী, ইস্রাফিল, রিয়াদ হাসান, মোহাম্মদ আলী এবং কবিরের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ শনিবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পূর্ব বিরোধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। এ সব ঘটনায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। সকল আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। পাশাপাশি এলাকায় পুলিশী নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।