প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৪৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাশুয়াড়ী গ্রামের দীঘির পূর্বপাড়ে পরামানিক পাড়ায় দূরবৃত্তের হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলার বাশুয়াড়ী (মধ্যপাড়া) গ্রামের মোঃ আলীজান,ফকিরের ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম(৩১), বাদি হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরিকুল অভিযুক্ত বাশুয়াড়ী গ্রামের মৃত- পুলিন বিহারী শীলের ছেলে তারাপদ শীল(৫১), এর কাছ থেকে ২৪ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ভুক্তভোগীসহ পরিবারকে আসামিরা ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দিয়ে আসছিলো। ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিল রবিবার দুপুর আনুঃ ১ টার সময় অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও নগদ তিন লাখ টাকাসহ ঘরের মালামাল লুটপাট করতে থাকে। এসময় ভুক্তভোগীর মা ও স্ত্রী সন্তানেরা বাঁধা দিতে গেলে দূরবৃত্তরা সকলকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে বসতবাড়ি মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলামের ক্রয় করা ২৪ শতাংশ জমি বিক্রেতার অন্য দাগ থেকে বিক্রি করেছিলো, কিন্তু ভুলবশত তরিকুলের নামে বিরোধীয় জমির দাগ উল্লেখসহ জমি রেজিষ্ট্রি হয়ে যায়। যা এলাকার সাধারণ জনগণ অবগত থাকায় ভুক্তভোগী তরিকুলের সাথে এলাকাবাসী অনেক বার সালিশ মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর কোন কথায় জমি ক্রেতা তরিকুল মেনে নেয়নি,এবং হঠাৎ ওই জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে যা এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা মেনে নিতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তরিকুল ইসলাম একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ পরিচয় দানকারী, যে কোন ডাক্তারী পাশ না করেও নিজেকে বড় ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। এবং ওই বোকা তারাপদকে মিথ্যা ভাবে ওই দামি জমি আত্মসাৎ করার জন্য প্রতারণা করে চালাকির মাধ্যমে ওই দাগ উল্লেখ করে জমি লিখে নিয়েছে, ওই জমি তার ফেরত দিতে হবে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি বাংলাদেশ আইন মেনে তিলতিল করে গর্চিত টাকা দিয়ে ওই জমি কিনে পরিবার নিয়ে একটু সুখের আসায় বসবাস করে আসছি। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন গ্রামের একটি পক্ষ আমার কাছে সাত লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছে, আমি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা আমার বসতবাড়ি ভাংচুরসহ লুটপাট করেছে, এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে আমার বিরুদ্ধে, আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ন্যায়বিচার আসা করছি। এবিষয়ে তারাপদ শীলের বড় ভাই তাপস শীল বলেন, আমার ওই ভাই লেখাপড়া যানেনা, ওই তরিকুল ষড়যন্ত্র করে ওই জমি চালাকি করে লিখে নিয়েছে, এবং তারা ওখানে বসবাস করতোনা দুই-তিনদিন আগে ঘর করেছে, যে কারণে এলাকাবাসী ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। এবিষয়ে বাশুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান বলেন, আজ একটা অভিযোগ আমার হাতে এসে পৌঁছেছে, অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার ব্যবস্থা করা হবে। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান এর মুঠোফোনে একাধিকবার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।