• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • বাংলাদেশ

    ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা জানাল বাংলাদেশ, যা আছে এতে।

      প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:৫১:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ আঃ রহিম জয়, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:-

    এর আগে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেনি; অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় আগ্রহ থাকলেও সামরিক পদক্ষেপে ‘আগ্রহী নয়’ বলে বাংলাদেশ জানিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের আগে ১৫টি লক্ষ্য ধরে ইন্দো-প্যাসিফিক ‘রূপরেখা’ ঘোষণা করেছে সরকার; যেখানে গঠনমূলক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং আলোচনার উপর গুরুত্বারোপ করে তা বাংলাদেশের টেকসই অর্থনীতি ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

    চার মৌলিক নীতিমালার আলোকে ১৫টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা এবং এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রীর তিন দেশ সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রূপরেখাটি তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।

    তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের সব দেশের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক এর ধারণা বাস্তবায়নের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে।

    ভারত ও প্রশান্ত সাগরাঞ্চলকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত এ কৌশলে অংশ নেওয়া নিয়ে কাজ করছে বিভিন্ন দেশ ও জোট। দেশগুলোর অর্থনীতি, বাণিজ্য ও ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তারা এতে অংশীদার হওয়ার কথা বলে আসছে।

    আলোচনায় আছে চীনের আধিপত্য ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি-আইপিএস) তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ওই কৌশলে পরিবর্তনও আনা হয়।

    যুক্তরাষ্ট্রের এ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের পথ ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপানসহ বিভিন্ন দেশ এর আগে তাদের কৌশলপত্র প্রকাশ করেছে।

    নিজেদের অবস্থান থেকে এই কৌশলপত্র প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হলেও এই অঞ্চলের দেশগুলোকে ওই কৌশলের সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা আছে সেসব দেশ ও জোটের।

    যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই চায় বাংলাদেশ অন্যান্য আঞ্চলিক দেশের মতো এ কৌশলগত জোটে অংশ নিক। এ ব্যাপারে ২০১৮ সাল থেকেই দেশটি আহ্বান জানিয়ে আসছে।

    ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশকে টানতে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানসহ বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টা এর আগে দেখা গেলেও সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

    সরকার এতদিন বলে আসছিল, অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকলেও সামরিক কোনো পদক্ষেপে বাংলাদেশ ‘আগ্রহী নয়’।

    তবে ২৫ এপ্রিল জাপান যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ১৫ দিনের লম্বা সফরের আগে এ বিষয়ে রূপরেখার কথা জানাল বাংলাদেশ সরকার। জাপান থেকে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন এবং সেখান থেকে দেশে ফেরার পথে যুক্তরাজ্যে একটি সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর ফিরবেন ৯ মে।

    ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চায় ইইউ
    ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা ঘোষণা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, “আপনারা অনেকদিন থেকে প্রশ্নটি অনেকবার করেছেন এবং কথাবার্তা হয় বিষয়টি নিয়ে, সেটি হলো ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশের অবস্থান।

    “আমরা বাংলাদেশের তরফ থেকে একটা ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা বা আউটলুক চূড়ান্ত করেছি। এ বিষয়ে আপনাদেরকে অবহিত করতে চাই।”

    রূপরেখার ভূমিকায় তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিকে তার ‘ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়ন তথা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক, উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে বিবেচনা করে।

    “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বৈশ্বিক জিডিপিতে সামষ্টিক অংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অগ্রগণ্য অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সামগ্রিক কার্যক্রম এবং প্রযুক্তি খাতে গতিশীল বিকাশ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই অর্থনীতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে একটি সুদূরপ্রসারী ভূমিকা পালন করতে পারে।

    আরও খবর

    Sponsered content