• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • নাগরিক সংবাদ

    কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী শরিফা? তার খুটির জোর কোথায়?

      প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:৪৯:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোর প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরের ঠাকুর পুকুর গ্রামের কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী শরিফা, তার খুটির জোর কোথায়। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রামের নারী, পুরুষসহ শিশু কিশোরদের মাঝে। গ্রামবাসী বলছেন, গ্রামের মধ্যে দিবা রাত্রী ২৪ ঘন্টা প্রকাশ্যে ইয়াবা ও হিরোইন বিক্রি করছে। ফলে, প্রতিনিয়ত দেখা মিলছে বহিরাগত তরুণ যুবক ও মাঝ বয়সি মাদকসেবন কারীদের।
    আর এই সব মাদকের অন্যতম গডফাদার নারী মাদক সম্রাজ্ঞী ঠাকুর পুকুরের শরিফা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মাদক সম্রাজ্ঞী শরিফার একসময় কিছুই ছিলোনা, তার স্বামী করতো বরেন্দ্র অফিসের মটার ওঠা নামানোর কাজ। অথচ আজ তারা স্বামী স্ত্রী মাদক বিক্রি করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বুনে গেছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। নির্মাণ করেছেন পাঁচতলা ফ্ল্যাট বাড়ি, রয়েছে দুটি মোটরসাইকেল। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সম্পদের মালিক হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে দুদকের তদন্ত দাবি। জানা গেছে, বর্তমানে মাদক সম্রাজ্ঞী শরিফার বড় ছেলে ইমরান প্রায় এক কেজি হেরোইন সহ র্র্যাবের হতে আটক হয়ে বছর খানিক ধরে রয়েছে জেল হাজতে। এছাড়াও শরিফা ও তার স্বামী একরাম আলীকে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ও হেরোইন সহ আটক করে জেল হাজতে পাঠান। কিন্তু তারা স্বামী স্ত্রী জেল থেকে বেরিয়ে এসেই আবারো জোরালো ভাবে শুরু করেন হেরোইন ও ইয়াবার ব্যবসা। ফলে তাদের বেপরোয়া মাদক বিক্রির জন্য এলাকার মানুষ ব্যাপক শংকিত হয়ে পড়েছে। উর্তি বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অভিভাবকরা রয়েছে চরম আতংকের মধ্যে। নামপ্রকার্শে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন কৌশল অবলম্বন করে দিনরাত সমান ভাবে চালাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা। এতে করে একদিকে বাড়ছে চুরির হিড়িক, অন্যদিকে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করছে মাদকসেবিরা।স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত হেরোইন ও ইয়াবা সম্রাজ্ঞী শরিফার ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে তার মাদক ব্যবসা। নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য। তাই দ্রুত শরিফার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মাদকের থাবা থেকে বের হতে পারবেন না বলেও অভিভাবকদের অভিযোগ।

    এবিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান,ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় মাদকের স্পষ্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে নতুন কৌশল অবলম্বন করে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা করছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

     

     

    আরও খবর

    Sponsered content