• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    প্রাকৃতিক ও শিল্পের ছোঁয়ায় আরও প্রাণবন্ত নড়াইলের নিরিবিলি পিকনিক স্পট,ভ্রমণে উপচে পড়া মানুষের ভীড়

      প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৩২:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার

    নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা সদরের পাশেই রামপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নিরিবিলি পিকনিক স্পট। যেখানে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিভিন্ন শিল্পকর্মের ছোঁয়ায় নির্মল বিনোদনের জন্য এক আদর্শ স্থান। পিকনিক স্পটটি এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যা বছরের সব সময়েই ভ্রমণ করা যায়। সুন্দর সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার জন্য এখানে পর্যটকরা নিরাপদ ও সাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারে। সপ্তাহের সবদিনই পর্যটকরা থাকলেও ছুটির দিনগুলোতে থাকে উপছে পড়া ভীড়। দেশের প্রায় সব অঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসুদের এখানে দেখা যায়। পদ্মা এবং মধুমতী সেতু চালু হওয়ায় রাজধানী ও এর আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ার মত।ঢাকা হতে নিরিবিলি পার্কে আগত অনেক পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে ভ্রমণে আসলে পার্কের সৌন্দর্য উপভোগের সাথে বাড়তি পদ্মাসেতু ও মধুমতি সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঐতিয্যবাহী জমিদার বাড়ি, আধুনিক রাইড, মিনি চিড়িয়াখানা, ভাস্কর্য শিল্প, নৌকা ভ্রমণ এবং কতৃপক্ষের আন্তরিকতায় তারা মুগ্ধ। সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থার করণে তারা আবারও ভ্রমণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।নিরিবিলি পিকনিক স্পটের ভিতরে অবস্থিত অত্যাধুনিক সুযোগ সুবধা সংবলিত হোটেল নিরিবিলি পর্যটকদের কাছে বাড়তি অকর্ষণ হিসাবে বিবেচিত। এখানে পরিবার, বন্ধু বান্ধব সহ সবাইকে নিয়ে রাত্রি যাপন ও খাওয়া দাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে।

    ঈদের ছুটিতে পার্কে স্বপরিবারে ঘুরতে আসা ঢাকার একটি ব্যাংকে চাকুরীরত কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন বলেন, “ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সহকর্মীর পরামর্শে এখানে আসি, পার্কে মধ্যে উন্নত মানের হোটেল থাকায়, আমি পরিবার নিয়ে দুই দিন অবস্থান করছি,এখাকার পরিবেশ, কতৃপক্ষের আন্তরিকতা,বাচ্চাদের খেলার বিভিন্ন রাইড এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমার খুব ভালো লেগেছে, আশাকরি আগামীতে আবারও আসবো।তাছাড়া আসার পথে পদ্মাসেতু আর মধুমতী সেতু দেখায় আরও ভালো লাগছে।

    কামরুল ইসলাম নামের আরেক জন বলেন,আমি গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি, সত্যি অসম্ভব ভালো লাগছে।
    দক্ষিণবঙ্গে বিনোদনের জন্য এত সুন্দর স্থান আছে জানতাম না।

    কথা হয় পার্কের স্বত্বাধিকারী ইন্জিঃ সৈয়দ মফিজুর রহমান এর ছোট ছেলে ইন্জিঃ সৈয়দ নাদিম রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাবা মানুষের অবসর বিনোদনের কথা চিন্তা করেই পার্কটিকে আরও আধুনিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভেতর বাহির সবখানেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে , কাছের এবং দুরের পর্যটকরা যাতে দিন রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে, সেজন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত হোটেল পার্কের ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই পার্কে আরও নতুন নতুন রাইড, সুইমিংপুল সহ অনেক কিছু করা হবে।আমরা চাই পার্কটি দক্ষিণবঙ্গে সেরা হিসাবে গড়ে তুলতে

    এদিকে ঈদের সময় থেকে পার্কের টিকিট গুলো অনলাইনে কাটার সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content