• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • অর্থনীতি

    গঙ্গাচড়ায় দালালি দিয়ে নিতে হলো সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহায়তার অর্থঃ

      প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৩৯:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃআবু তালেব,সিনিয়র রিপোর্টার:

    রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ধীন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহায়তার অর্থ নিতে নিবারণকে দালালি দিতে হয়েছে সহায়তার অর্ধেক অংশ উঠেছে এমন অভিযোগ। অর্থ না দিলে মিলে না সহায়তা। ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গাচড়া উপজেলার আরাজিনিয়ামত এলাকার দিন মজুর কৃষ্ণ চন্দ্র রায় ওরফে বোল্ডার সাথে। সহায়তার অর্থ নিতেই তাকে দালালি দিতে হয়েছে প্রাপ্ত সহায়তার অর্ধেক অংশ ২৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি জানতে পেরে সরাসরি কথা বলা হয় কৃষ্ণ চন্দ্রের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার মা জয়ন্তি বালা অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য অনেক গুলো টেষ্ট করা হয় ডাক্তারের পরামর্শে। আর তাতেই আমার মায়ের ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পরে। একজন দিন মজুর হয়ে মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা আমার কাছে কষ্টকর। তাই আর্থিক সহায়তার জন্য বিগত ১৫-০২-২২ ইং এ আবেদন করি উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর অফিসে। আবেদন করার আট মাস হয়ে গেলেও কোন সহায়তা পাই নি। আট মাস পর আমার মা মারা যায়। মা মারা যাওয়ার পর আমার পাশের গ্রামের নিবারণ দাদা আমাকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে, তোর মায়ের চিকিৎসার জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তরে আবেদন করেছিলি টাকা তো পাসনি। তোর মা মারা গেছে তাই আবেদন বাতিল হয়ে গেছে। তবে অফিসারদের সাথে আমার ভালো পরিচয়। যদি আমাকে সহায়তার অর্ধেক টাকা আগাম দিস তাহলে তাদেরকে মেনেজ করে তোর সহায়তার ব্যবস্থা আমি করে দিব। তাই আমি নিরুপায় হয়ে তাকে সহায়তার অর্ধেক ২৫ হাজার টাকা চেক পাওয়ার আগে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাওলাত নিয়ে তাকে দেই। চেক নেয়ার জন্য রংপুর জেলা সমাজ সেবা অফিসে গেলে ইউনিয়ন সমাজ কর্মী শুভ্রত আমাকে বলে বড় স্যার আপনার মায়ের নামের চেকের কথা আমাকে বলেছে। বলেই আমাকে তারাতারি চেকটা দিয়ে দেয়। আমার কাছ থেকে নিবরণ দাদার টাকা নেয়ার কথা শুনে স্থানীয় জন প্রতিনিধি মাহাফুজার রহমান দুলু ভাই তাকে কথা বলার জন্য ডাকলে নিবারণ তাকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে সমাধান করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু দুলু ভাই তাতে রাজি হননি।
    এ বিষয়ে কথা বলা হয় টাকা নেয়া নিবারণ এর সাথে। তিনি বলেন, আমি কৃষ্ণর কাছে কোন টাকা নেই নি। আমি সমাজ সেবা অফিসে চাকরি করি না। আমি কাপড়ের দোকান করি আমাকে কেন টাকা দিবে। আমি অফিসের কোন লোককে চিনি না। এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় জন প্রতিনিধি মাহাফুজার রহমান দুলুর সাথে তিনি বলেন, কৃষ্ণ একজন দিন মজুর তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেয়ার কথা শুনে আমি নিবারণকে কথা বলার জন্য ডাকি। নিবারণ বিষয়টি শেষ করার জন্য আমাকে ৫ হাজার টাকা দিতে চায়। আমি টাকা নিতে অস্বীকার করলে নিবারণ পরে আমার সাথে আর দেখা করে না।
    কথা হয় স্থানীয় জন প্রতিনিধি ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ওয়াহেদুল করিম রাসেল এর সাথে। তিনি বলেন, লোক মারফত আমি শুনতে পাই কৃষ্ণের কাছে নিবারণ সমাজ সেবার টাকা দেয়ার কথা বলে আগাম টাকা নেও। সেই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও হয়। কথা শুনে আমি কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করলে টাকা নেয়ার বিষয়টি সে কথাটি স্বীকার করে।

    আরও খবর

    Sponsered content