প্রতিনিধি ৪ মে ২০২৩ , ৬:৫৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোস্তাকিম রহমান গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটায় জামেনা বেগম হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে এসে বাদীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।বুধবার (০৩ মে)দুপুরের দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের জামেনা বেগমের কবরের সামনে দাড়িয়ে মানববন্ধন নিহতের স্বজনরা।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান,হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে হত্যা মামলার আসামী এরশাদ ও তার ছেলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন । আর মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা মামলা তলে না নিলে আমাদেরকেও হত্যা করা হবে। আমরা এখন বিপদে আছি।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জিমির সাথে একই ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের লাইজুর সাথে বিবাহ হয় ।
সাংসারিক মনমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় লাইজু মিয়ার অন্তসত্তা স্ত্রী জিমি আক্তার ৫ মাস ধারে তার বাবার বাড়ী কামারপাড়ায় থাকছেন।
কিছু দিন আগে জিমি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়।জিমির স্বামী লাইজু ছেলের ছবি তোলার জন্য একই গ্রামের এরশাদ মিয়া নামের এক যুবককে অনুরোধ করেন। এর পরে যুবক এরশাদ গত বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০ টায় সাঘাটা উপজেলার জিমির মা স্ত্রী রিনা বেগমের কাছে আসেন তার নাতীর ছবি তোলার জন্য।
রিনা বেগম ছবি তুলতে নিষেধ করে গলিগালাজ করে এই নিয়ে দু’জনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
দুই পক্ষের হাতাহাতির শুরু হলে রিনার জ্যা জামেনা বেগম ঘটনা স্থালের উদ্ধার করতে এরশাদের হাতের লাঠির আঘাতে সে হাতে আঘাত পায়। পওে জামেনা বেগমকে তাকে উদ্ধার করে সাঘাটা হাসপাতালে নেয়া হয় । হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়া হয়।
পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে জামেদা বেগম (৫৫) কে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয় । জমেনা বেগম নিজ বাড়ীতে এসে সেদিন রাত ৮টার দিকে মারা যায়।এঘটনায় সাঘাটা থানায় সেদিন রাতেই একটি হত্যা মামলা রুজ করা হয়েছে। এবিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু মিয়া জানান,“ এই মামলাটি তদন্ত চলছে । আমরা নিবির ভাবে মামলার তদন্ত করছি।