প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২৩ , ১০:৫৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে চাল নিয়ে চালবাজির রকমারি প্রতারণা করে ক্রেতাদের সাথে অভিনব প্রতারণা করছে চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন প্রতারণার মহা উৎসব।
সূত্রে জানা গেছে, শিল্প শহর নওয়াপাড়া বাজারে এক শ্রেণীর প্রতারক চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সক্রিয় ভাবে ক্রেতাদের ঠকিয়ে আংঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রুপ নিয়েছে। ঐ সব প্রতারক চক্র রাতের আধারে নামি- দামি ব্রান্ডের কোম্পানির চালের বস্তা তৈরি করে বিভিন্ন নিন্মমানের চাল বস্তাজাত করে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে। ফলে প্রতিদিন অভয়নগরে সাধারণ চাল ক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিনিকেট চালের বস্তায় মিনিকেট চাল থাকেনা থাকে নিন্মমানের মোটা চাল যা রান্না করলে ভাত খাওয়া যায়না, ভাত থেকে দূর্গন্ধ বের হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ঐ নিন্ম মানের চালের ভাত দুই ঘন্টাও ভাল থাকেনা, নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ঐ সব ব্যবসায়ী প্রতারক চক্র বেপরোয়াভাবে মানুষ ঠকানোর নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। সাধারণ মানুষ বস্তার প্যাকেটের গায়ে ২৮ ও মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ ভালোমানের চালের লোগো দেখে বিভিন্ন দোকান থেকে কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে বস্তার প্যাকেট খুলে ভিতরে নিন্মমানের কমদামি মোটা চাল দেখে বিপাকে পড়ে যায়। উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের মান্নান শেখ জানান, আমি মজুমদারের ব্রান্ডের চিকন মিনিকেট চাল কিনে বাড়ি আনার পর বস্তা খুলে দেখি মোটা নিন্মমানের চাল। অথচ দোকানদার ঠিকই চিকন মিনিকেট চালের দাম নিয়েছে। এখন ঐ চালের ভাত আমিসহ পরিবারের কেউ খেতে পারছেনা। উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আলামিন নামের একজন বলেন, আমি বাড়িতে অনুষ্ঠান করার জন্য মধুমতী ২৮ মিনিকেট চিকুন চাল কিনে বাড়িতে নিয়ে আসার পর বাবুর্চিরা বলেন এই মোটা নিন্মমানের চাল দিয়ে কি ভাত রান্না করা যায়, কথা শুনে আমি চাল দেখেতো মাথায় হাত, পরে ঐ চাল ফেরত দিতে গেলে উল্টো আমাকে দোকানি দোষারোপ করে বলে আমি নাকি বস্তা পাল্টিয়ে অন্য চাল ঢুকিয়ে তাকে ফেরত দিতে গেছি। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। দেয়াপাড়া গ্রামের জিয়া শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নওয়াপাড়ার চাল ব্যবসায়ীরা নামি দামি ব্রান্ডের লোগো ব্যবহার করে দামি চালের কথা বলে কৌশলে বিক্রি করে মোটা নিন্মমানের বাজে চাল, যে চালের ভাত একদমই খাওয়া যায়না, আমি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছি, যে জন্য এখন বস্তা ধরে চাল কিনিনা। তিনি আরো জানান, আমি ঐসব প্রতারক ব্যবসায়ীদের কঠিন শাস্তি চাই যারা মানুষ ঠকানো ব্যবসা করছে। উপজেলার নগরঘাট নামে পরিচিত বাজারে বালু ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান জানান, মজুমদারের ২৫ কেজি ২৮ চিকন চালের বস্তা কিনে বাড়ি গিয়ে খুলে দেখি মোটা নিন্মমানের চাল এবং চাল থেকে কেমন দূর্গন্ধ বের হচ্ছে, যে কারনে চাল ফেরত দিতে এসেছি।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে নেই, যদি এমন ঘটনার কোনও সন্ধান মেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।