• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চিত্র বিচিত্র

    আটপাড়া কামতলা গ্রামের অর্থায়নে মগড়া নদীতে তৈরি হয়েছে বাঁশের সেতু

      প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২৩ , ৪:৫৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:
    কখনো নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো আবার কখনো খেয়া নৌকায় পারাপার হতো কামতলা গ্রামের মানুষ। তবে এখন আর তাদের কষ্ট করে পারাপার হতে হবেনা। বাঁশ ও বারমিচ দিয়ে মগড়া নদীতে নির্মাণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকায় ২৫০ ফুট লম্বা বাঁশের সেতু। নেত্রকোনা জেলা আটপাড়া উপজেলা চার নং ইউনিয়ন বানিয়াজান কামতলা গ্রামের। এ ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে মগড়া নদী। নদীর উত্তর পারে কামতলা গ্রাম ও দক্ষিণ প্রান্তে পাহাড়পুর গ্রাম অবস্থিত। সরজমিনে দেখা যায়, মগড়া নদীতে এই দুই ওয়ার্ডের সংযোগ সড়কে নদীর ওপর চার ফুট প্রস্থ এবং ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ৩০০ টি বাঁশ, ৪০ পিচ বাড়মিচ ও বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে খুঁটিগুলো। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর যাবত বাঁশের সেতু ও নৌকা দিয়ে অনেক কষ্ট করে পারাপার হতে হয়েছে কামতলা গ্রামের দুইশত পরিবারের মানুষ । অনেক সময় এত বড় নদী পার হতে অনেকে অনেক সময় আহত হয়েছে, ছোট ছেলে মেয়ে বৃদ্ধদের জন্য নদী পার হওয়া ছিলো হুমকিতে। এ মগড়া নদী পার হয়ে আটপাড়া উপজেলা সদর, তেলিকাতি, কেন্দুয়া, মদন, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ শহরে যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার থেকে ২ হাজার লোক পারাপার হয়। এ নদী পার হয়েই আটপাড়া সিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড়পুর হাইস্কুল, আটপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজুল মনিরা মাদ্রাসা, উপজেলা ভূমি অফিস, ব্রুজের বাজার, হাসপাতালে আসতে হয়।
    কামতলা গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মিয়া ( ডালিম) বলেন, আমাদের গ্রামের সকল মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিদিন উপজেলা যেতে হয়। আমাদের দিনে বেশ কয়েকবার এ নদী পার হতে হয়। এ নদী পার হয়েই বাজার ও সব কিছু করতে হয়। দুই বছর আগে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ার পর আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন হয়ে যায়। আবারও ছোট নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়েছে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা পাঁচ জন ( কামরুল ইসলাম, রহিম মিয়া, সেন্টু মিয়া, সবুজ মিয়া, এরকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে একমাস সময়ে সেতুটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাঁশের সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি।
    নেত্রকোনা মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়া জাহান রিতু বলেন, সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। খুব কষ্ট করে আমদের নদী পার হয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। অনেক সময় স্কুলে যাওয়া হতো না আমাদের। এই বাঁশের সেতু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আগে ৩ কিলোমিটার বেশি ঘুরে আমাদের বিদ্যালয়ে যেত হতো। এখন সহজে নদী পার হয়ে কলেজে যেতে পারবো।
    সেতু পার হওয়া আব্দু রহিম বলেন, এরকম একটি সেতু নির্মাণে যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। এর আগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো ছিলো কিন্তু এবারের সেতুটিতে কার্পেট জাতীয় বাড়মিচ দেওয়া হয়েছে। নদী পার হতে আর কোন সমস্যা হবেনা বলে আমি মনে করি। আগে কোন আত্মীয় স্বজনরা আসতে অনিহা করতেন। এখন সহজে নদী পার হতে পাড়ছি।
    কামতলা গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মগড়া নদী পার হয়ে একাধিক বার উপজেলা সহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়া আশা করতে হয়। এবার সেতুটি নির্মাণ করতে এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাবের সাথে বিষয়টি জানালে তিনি বাঁশ দিয়ে ভালো করে সেতু নির্মাণ করার পরিকল্পনাসহ সার্বিক সকল বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন।

    ৪ নং বানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান আঞ্জু বলেন, এ বাঁশের সেতুটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আগেও নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করে দিয়েছি। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। তবে এখানেই শেষ নয়, সেতু নির্মাণ কাজে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content