• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজশাহী

    বগুড়ার কাহালুতে ছাত্রীদের দাবীর মুখে স্কুল থেকে পুলিশ সহায়তায়  বের হলেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান

      প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৩ , ১২:২৫:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    কাউসার মিয়া দিপু, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি

    বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচপীর মাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাশে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি এখন এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে বিষয়টি আপোষ-মিমাংশার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় গত সোমবার ওই ছাত্রী ১৫ টি ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে। পরীক্ষার একদিন আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্লাশ বর্জন করে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবীতে আন্দোলনে নামে। ছাত্রীরা পাঁচপীর-শেখাহার সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীদের শান্তনা দিয়ে ক্লাশে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। এ সময় ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক দাবী জানান প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত একজন ছাত্রীও ক্লাশে যাবে না। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে কাহালু থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান খান বদের খান সহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে পুলিশ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে আনেন পুলিশ প্রহরায়। প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে যাওয়ার পর ছাত্রীরা ক্লাশে ফিরে যায়। আপাতত স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখা সহ ছাত্রীদের পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক এ, কে, এম ফজলে রাব্বিকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের জন্য মৌখিক বলা হয়।
    এদিকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান স্কুল থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল যোগে কাহালুতে আসার পথে জনতার ধাওয়ায় মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে কাহালু থানা পুলিশ মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। কাহালু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা সহ পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রধান শিক্ষককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করার এখতিয়ার ম্যানেজিং কমিটির। কিন্ত ৯ মাস ধরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় সৃষ্ট ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিযোগ প্রমাণিত। গত ১ জুন তদন্ত রির্পোট জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবীতে ছাত্রীদের আন্দোলন ও তাদের অভিভাবকদের দাবী-দাওয়ার বিষয়টি খুব শিঘ্রই একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মেরিনা আফরোজ জানান, বিষয়টি জানার পর পরই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ ঘটনাস্থলে পুলিশকে পাঠানোর পর উদ্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি অবগত করা হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content