প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২৩ , ২:৩৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
শেখ নাসির আহমেদ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশে মানুষ যখন শিক্ষিত হয়ে উন্নয়নের লাগাম ধরে চাকরির পিছনে ছুটছে; ঠিক তখন শিক্ষিত হয়েও চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষি নিয়ে গবেষনাধর্মী কাজে আত্ন নিয়োগ করেছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের উত্তর হাটবামুনি গ্রামের আসিফ উজ্জামান শশী। এরই ধারাবাহিকতায় সুদূর ফিলিপাইন থেকে বীজ আমদানি করে পরীক্ষামূলক “ব্লাক রাইস” নামে নতুন জাতের ধান উৎপাদন করে বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি।
নতুন জাতের এই ব্লাক রাইস এর চারা অন্যান্য ধানের চারার মতই ঘন সবুজ। কিন্তু দিনে দিনে এই ধান ক্ষেতের বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। ঘন সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে যখন থোর ভেদ করে ধানের শিষ বের হতে থাকে তখন সমগ্র ধান ক্ষেতে সবুজের উপরে এক লাল আভা যেনো খেলা করতে থাকে। দিনে দিনে সেই লালচে ধানের শীষ কালো বর্ণ ধারণ করে।
মজার বিষয় হলো এর চাল পর্যন্ত কুচকুচে কালো বর্ণের হয়ে থাকে। এই ব্লাক রাইস এর চাল রান্নার পরও কালোই থেকে যায়।
এই ব্লাক রাইস বিভিন্ন পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজার মূল্যও অনেক বেশি। সাধারণত এই চাল বিভিন্ন দেশের সুপারশপ গুলোতে চড়া দামে বিক্রয় হয়ে থাকে। এই ধান অন্যান্য ধানের মতোই বেশ ভালো ফলন হয়। যা বিঘা প্রতি কম পক্ষে ২০ -২৫ মন ফলন হয়ে থাকে। অন্যান্য ধানের মতোই স্বাভাবিক যত্নে এই ধান উৎপাদন করা যায় বলে জনান চাষী আসিফ উজ্জামান শশী। এই ধান এই এক দিকে যেমন পুষ্টি চাহিদা পুরণ করবে তেমনি চাষিরা আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হবে বলে দাবী করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মতিউল আলম।
এজন্য কৃষকদের অন্যান্য উন্নত জাতের ধানের পাশাপাশি ব্লাক রাইস উৎপাদনের আহ্বান জানান তিনি।