প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২৩ , ৩:১৫:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মোস্তাকিম রহমান, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গোহাটি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠায় জমে উঠেছে গোহাটটি। আর্থিক নিরাপত্তায় ব্যাংক স্থাপন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে ভরতখালী গোহাটটি ক্রেতা বিক্রেতারা সাচ্ছন্দবোধ করেন। যমুনা নদীর তীরে হাটটির অবস্থান হওয়ায় বিভিন্ন জেলা ও চরাঞ্চল থেকে নৌকাযোগে গরু পাইকাররা সহজেই গরু আনা-নেওয়া করতে পারেন। গো হাটটিতে যেসব বড় বড় গরু আমদানি হয় তার বেশির ভাগই চরঞ্চল থেকে আসে। আর এসব গরু মোটা তাজা করণ ঔষধ ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে খামারীরা বড় করে থাকেন। সে কারণে ক্রেতাগণ ঐউতিহ্যবাহী গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী হাট থেকে গরু ক্রয় করতে আগ্রহী বেশি। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা থাকায় গরু ক্রয় করে দেশের যে কোন স্থানে সহজেই নিয়ে যাওয়া য়ায়। মন্নিয়ার চরের গরু ব্যবসায়ী আনসার আলী জানান, কোন কারণে গরু বিক্রয় করতে না পারলে রাত্রী হলে আমরা অনায়াসে নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গরুসহ হাটটিতে রাত্রী যাপন করতে পারি। এখানে হাট পরিচালনা কমিটি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। ঐতিহ্যবাহী ভরতখালী হাট ইজারাদার প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, সপ্তাহে দুই দিন এ হাটটি। রোজ- শনিবার ও মঙ্গলবার। প্রতি হাটে গরু ছাগল বিক্রেতাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের সদস্য মোতায়েন থাকেন। ঐতিহ্যবাহী এ হাটটি ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।