• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে উৎসব মুখর পরিবেশে টিকিট কেটে মাছ ধরার ধুম

      প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৩ , ৩:৩৯:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি :

    যশোরের অভয়নগরে উৎসব মুখর পরিবেশে টিকিটে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ ধরতে উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামে অবস্থিত দারুল আসাদ মৎস্য খামারের ঘেরে মাছ ধরার উৎসব হয়,ঘেরের পারে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন মাছ শিকারিরা। কেউ কেউ সেখানেই মাছ রান্না করে ছোটোখাটো পিকনিকও সেরে নিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের কেউ এটিকে আসাদের ঘের নামেও ডাকে। প্রতিবছরই এই ঘেরে টিকিট কেটে মাছ শিকার করতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছ শিকারিরা। তাদের জন্য ঘেরের পারে বানানো থাকে মাচা। এবার ঘেরের পারে মাছ শিকারের জন্য রাখা ছিল ১০ টি মাচা। পারে ছিল ১০২টি বড়শি দিয়ে বসার জায়গা। প্রতিটি মাচা ৩হাজার টাকা টিকিটে বিক্রি করা হয়েছে। মাছ ধরতে সেখানে গিয়েছেন মনিরামপুর, ডুমুরিয়া, ফুলতলা , নড়ইেলের শৌখিন মাছ শিকারিরা। তবে এবার মাছ অনেক বেশি পাওয়ায় কিছুটা আনন্দিত হয়েছেন তারা।
    পায়রাবাজর থেকে যাওয়া আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি বিভিন্ন ঘেরে মাছ শিকারে আসি। এখানে এসে আমি খুব খুশি। আমি ৫ কেজি উজনের কাতলা মাছ পেয়েছি। এ জায়গার মাছ গুলো আকারে অনেক বড়। ৪/৬ কেজি ওজনের মাছ বেশি।
    নুর ইসলাম বলেন, আমরা যখন টিকিট কিনি তারা আমাদের বলেছিল যে ৫ থেকে ৬ কেজি ওজনের মাছ আছে। ৩ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছি। ৫ কেজি ওজনের কার্প মাছ বড়শিতে পেয়েছি। নওয়াপাড়ার ইউসুফ আলী বলেন, মাছ শিকার করতে ভালো লাগে। তাই শখের বশে যেখানে মাছ শিকারের খবর পাই সেখানেই যাওয়ার চেষ্টা করি। এরই মধ্যে দেশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি পুকুরে মাছ শিকারের অভিজ্ঞতা আছে। মুরশিদুল হকের ধারণা, মাছের পরিমাণের তুলনায় ঘেরে এবার ছিপ বেশি হয়ে গেছে। মাছও ছোট বড় আছে। তাই এবার এই ঘেরে মাছ আমি পায়নি। আমার লোকসান হবে।
    ঢাকা থেকে দেখতে আসা জাকির হোসেন জানান, এ আয়োজনে আমি মুগদ্ধ। এখানে ১১২ জন মাছ শিকারী এসেছেন। আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের এই মাছ উৎসব দেখতে এসেছে। মাছ ধরার এই উৎসবের আয়োজন করেন দারুল আসাদ মৎস্য খামার।
    ঘের মালিক আসাদ জানান, আমার ১২ বিঘা ঘেরে র্দীঘ দিন ধরে মাছ চাষ করে আসছি। মৎস্য শিকারীদের আনন্দ দিতে আমার এই আয়োজন। আমার ঘেরে সব ধরণের মাছ আছে। আমি ৩ হাজার টাকা টিকিটি প্রতি নিয়েছি। তাতে আমার ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আয় হয়েছে। এসময় উৎসবে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন নওয়াপাড়া গ্রুপের সেলস্ এন্ড মার্কেটিং হেড মিজানুর রহমান জনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক শাহিন হোসেন প্রমুখ।

    আরও খবর

    Sponsered content