প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৩ , ১:১২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
হারাধন কর্মকার রাজস্থলী:
মানবতার ফেরিওয়ালা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর। সমাজ দরদি ও উদার মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত সকলের কাছে। সবার মুখে মুখে ভালো মানুষ হিসেবে তাঁর বেশ নামডাক রয়েছে। পরোপকারি ব্যক্তি হিসেবে তাঁর সুনাম ও সুখ্যাতিও আছে। করোনাকালে সবাই যখন আপন চাচা পরান বাচা নীতি নিয়ে হাত পা গুটিয়ে ঘরের কোনে বসেছিল। তখন সমাজের হাতে গোনা যে কজন মানুষ জীবন বাজি রেখে অসহায় মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর । তদ্মধ্যে অন্যতম। করোনাকালীন কঠিন মুহুর্তে ৮শতাধিক পরিবারকে চাল কেনার টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে প্রতিদিন ট্রাকে করে শহরের অলিগলিতে ঘুরেঘুরে তরি তরকারি বিতরণ করেছে। রোজা ও ঈদে সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষকে সহযোগিতা দিয়েছিলেন তিনি। সরকারী দান অনুদানে নয়; নিজের অর্থায়ানেই এসব করেছিলেন তিনি। এবার মানবতার ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করলেন হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর। নিজের ঘরে নিজের মেয়ের মত লালন পালন করা কন্যাকে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন। শুধু পাত্রস্থ করে তিনি দায় সারতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। নিজে দেখেশুনে সমাজের ভালো ভদ্র ও শিক্ষিত এক ছেলের হাতেই মেয়েটিকে পাত্রস্থ করলেন। এখানেই শেষ নয়। পিতৃহীন পাত্র ছোট একটি চাকরি করে কোনমতে সংসার চালায়। ১৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ছেলেকে পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। বিয়ের আয়োজনও ছিল আড়ম্বরপুর্ণ। পাত্র আমার প্রতিবেশি। বিয়ের সমস্ত কাহিনী শুনে অবাক না হয়ে পারলাম না। আয়োজনের কথা শুনে দেখলাম- হাজী মুছা মাতব্বর ও তার জন বান্ধব আতিথেয়তায় মনে হয় নিজ মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন। দুজনেই মেহমানদারি করছেন সকলকে। সব কিছু তদারকিতেও স্বামী-স্ত্রী দুজনে। যদিও বা ভাষ্যমতে, খুবই সীমিত আয়োজন। আদতে বর্তমান সময়ের উচ্চবিত্তের আদলেই ছিল সমস্ত আয়োজন। প্রশাসনিক,সামাজিক সকল শ্রেণি পেশার লোকজনের উপস্থিতি ছিল অনুষ্ঠানে। যেন নিজ কন্যার বিয়ের আয়োজন। হাজী মুছা মাতব্বর মানবিক এই উদারতা এলাকায় সবার মুখে মুখে।