এমপি আয়েন উদ্দিনের গুছানো মাঠ নষ্ট করতে মরিয়া পদহীন নেতা

বিশেষ প্রতিনিধি:

রাজশাহী-৩ (পবা – মোহনপুর ) আসনের ২ বারের সফল সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের গুছানো আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে মাঠে নেমেছেন বিদ্রোহীদের মদদ দাতা কিছু বগি আওয়াজ তোলা কুচক্রী মহলের চক্রান্তকারীরা বলে তৃনমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন। এতে করে পদপদবী হারানো বগি আওয়াজ তোলা কুচক্রী কারিদের জন্য দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় গুছানো মাঠ নষ্ট হতে বসেছে।

তৃনমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, মোহনপুর – পবা উপজেলা জুড়ে ছিলো একসময় বিএনপি ও জামাতের আখড়া। এখানে বিএনপি জামাতের ভয়ে কোনঠাসা হয়ে ছিল সাধারন নাগরিকসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দিনের পর দিন এখানে বিএনপি জামাতের দাপটে রাজ পথে নামতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা,পারেনি পথে ঘাটে কোন মিছিল মিটিং,সমাবেশ,জনসমাবেশ করতে।
অথচ আজ মোহনপুরে সব বাধা ভয়ভীতি দূর করে উপজেলা বাসীর কাছে একটি জনপ্রিয় দল হয়ে উঠেছে পবা – মোহনপুরের উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন। দেখে মনে হবে কিসের বিএনপি জামাত, মোহনপুর – পবা আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু নিজ দলের কিছু দলছুট বগি নেতা এমপি আয়েন উদ্দিনের কাছে থেকে অবৈধ সুবিধা হাসিল করতে না পেরে মাঠে ঘাটে এমপি বিরোধী বগি আওয়াজ দিয়ে গুছানো মাঠ ঘোলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে বিভিন্ন সময় এমপি বিরোধী অপপ্রচার করতে গিয়ে মুগুর খেয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে তারা।

তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এমপি আয়েন উদ্দিন আওয়ামী লীগের করুণ দূর্দিনে পবা – মোহনপুর উপজেলাসহ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন কে চাঙ্গা করে তুলতে আওয়ামী লীগের জেলা দায়িত্ব ও পবা মোহনপুর আসনে নৌকা প্রতীক দিয়ে এমপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রথমবার বিএনপির হেভিওয়েট নেতা,সফিকুল ইসলাম (মিলন) কে অনেক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। পরাজিত করে আয়েন উদ্দিন তার সকল মেধাযোগ্যতা দিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়েন মাঠে ঘাটে। শুরু করেন পবা – মোহনপুর আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশ করতে। ফলে পবা – মোহনপুরের মাটিতে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশ বাড়তে থাকে ।

তৃনমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা জুড়ে ছিলো একসময় বিএনপি ও জামাতের আখড়া। এখানে বিএনপি জামাতের ভয়ে কোনঠাসা হয়ে ছিল সাধারন নাগরিকসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দিনের পর দিন এখানে বিএনপি জামাতের দাপটে রাজ পথে নামতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা,পারেনি পথে ঘাটে কোন মিছিল মিটিং,সমাবেশ,জনসমাবেশ করতে।
অথচ আজ মোহনপুর সব বাধা ভয়ভীতি দূর করে উপজেলা বাসীর কাছে একটি জনপ্রিয় দল হয়ে উঠেছে পবা – মোহনপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন। দেখে মনে হবে কিসের বিএনপি জামাত, ত আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই।

যেনো কোন ভাবেই রাজশাহী ৩ আসনে আওয়ামী লীগ কে মাথাচাড়া দিতে দিবেনা বিএনপি জামাত। কিন্তু বিএনপি জামাতের চক্ষুভয় কে তোয়াক্কা না করে আয়েন উদ্দিন আরো বেপরোয়া ভাবে শুরু করেন বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে লড়াই। বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে মাঠে ঘাটে মিটিং মিছিল, হরতাল রোধ, সভা সমাবেশ,পথসভা। যার ফলে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি বদলে যাই, যার ফল লাভ করে আয়েন উদ্দিনের ২য় মিয়াদে। এখন মোহনপুরের ৬ ইউ পি চেয়ারম্যান ও পৌরসভা আওয়ামিলীগের দখলে। বলতে গেলে সফল ভাবে বিচরণ হতে শুরু করছে। ফুরফুরে মেজাজে রাজনীতির মাঠে জেগে উঠতে লাগলো আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকরা।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আরো বলেন, যে মানুষটি আওয়ামী লীগের দূর্দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ঘাটে বিএনপি জামাতের সাথে যোদ্ধা করে মোহনপুর- পবা আওয়ামী লীগ কে প্রতিষ্ঠিত করেছে, আর আজ সেই মানুষের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নেপথ্যে মদদে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার লাভ এবং উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর বগি (মতলববাজ) নেতাদের সমন্বয়ে জোট বেঁধে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।

সিন্ডিকেটের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যে হলো নির্বাচন করা নয় বরং নির্বাচনে প্রার্থী হবার আওয়াজ তুলে দলীয় প্রার্থীদের কাছে থেকে (নগদ-নারায়ন) কিছু অবৈধ সুবিধা আদায় করা। আর সিন্ডিকেটের এই পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে শক্তভাবে মাঠে নেমেছে এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে ইতিমধ্যে সিন্ডিকেট সদস্যরা এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিষাদাগারের মাধ্যমে এমপি ওপর চাপ সৃষ্টি করে অবৈধ সুবিধা আদায় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যডভোকেট আব্দুস সালাম জানান, পবা – মোহনপুর আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা কখনোই আওয়ামী লীগ হতে পারেনা, যারা একজন জনপ্রিয় নেতা কে নিয়ে মাঠে ঘাটে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন তারা এখনো সময় আছে সাবধান হয়ে যান,নয়তো আপনার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না কেউ। যখন আওয়ামী লীগের দূর্দিন তখন আমাদের এমপি আয়েন উদ্দিনের আওয়ামী লীগের কান্ডারী হয়ে মাঠে ঘাটে থেকে আজকের আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন কে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেছেন। পবা – মোহনপুর আওয়ামী লীগ মানেই এমপি আয়েন উদ্দিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পবা উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক নেতা বিগত জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট করেছিলেন। জনগণের দোয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল পাশ করেন। ওই বগি নেতা রাজশাহীর সব এমপি বিপক্ষে থাকে। তিনি কখনো পবা-মোহনপুর, তানোর-গোদাগাড়ী সহ বিভিন্ন আসনে ভোট করতে চায়। তিনি স্থানীয় ভোটার না, জনগণ ওই বগি নেতার থেকে বিরত থাকে।তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অভিযোগ দিবো ওই নেতার নামে।