• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    তানোরে বৃষ্টির মধ্যে দায়সারা পাকা রাস্তায় কার্পেটিং 

      প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২৩ , ৩:২৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    সারোয়ার হোসেন,তানোর:

    রাজশাহীর তানোরের বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) হরিশপুর গ্রামে পাকা রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের  বিরুদ্ধে সিডিউল উপেক্ষা করে নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছে গ্রামবাসি । এতে রাস্তার স্থায়ীত্ত্ব নিয়ে শংসয় দেখা দিয়েছে। এদিকে রাস্তা নির্মাণের পুর্বেই রাস্তার যাবতীয় তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়নি। এলাকার মানুষের কাছে তথ্য গোপণ করে রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসি।
    জানা গেছে, উপজেলা এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে  প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুর এন্টারপ্রাইজ রাস্তার নির্মাণ কাজ করছেন।
    প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান বলেন, গত ২৭ জুন মঙ্গলবার দিনভর ভারি ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়।কিন্ত্ত বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তার
    কার্পেটিং কাজ করা হয়। এসময় সেখানে উপজেলা এলজিইডির কোনো কর্মকর্তার দেখা পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, রাস্তার বেড করতে এক নম্বর ইটের খোয়ার সঙ্গে তিন নম্বর ইটের খোয়া এবং নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির মধ্যে কার্পেটিং করা হয়েছে, রোলার করার পর পরই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে ও কাদাসহ পানি জমেছে। এই রাস্তা নির্মাণের পরপরই নষ্ট হবে এনিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নাই।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, ইউপিবাসির দীর্ঘদিন স্বপ্ন পুরুন হয়েছে সত্যি তবে রাস্তার কাজের মান নিয়ে জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ লক্ষ করা গেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মুটোফোনে কল গ্রহণ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে এসও সাহিনুর বলেন, বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
    এসময় নিজেকে নুর ইসলাম ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি জানান, কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। আর ছিটেফোঁটা বৃষ্টির মধ্যেও কার্পেটিং কাজ করা যাবে না সত্য, তবে কাজ শুরুর পর বৃষ্টি হলে গরম পাথর তো ফেলে দেয়া যায় না, বৃষ্টির মধ্যেই কিছুটা কার্পেটিং করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content