নালিতাবাড়ীতে জগন্নাথ দেবের ফিরতি রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

সুজন,নালিতাবাড়ী প্রতিনিধিঃ

নালিতাবাড়ীতে জগন্নাথ দেবের ফিরতি রথযাত্রায় ধর্মীয় সংগীত গীতাপাঠ, নাম কীর্তন ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হাজার হাজার ভক্তের অশ্রু সিক্ত আনন্দের মধ্যে দিয়ে মাসির বাড়ি থেকে নন্দালয়ে যাত্রা করেছেন জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা। দীর্ঘ ৯ দিন ব্যাপী মাসির বাড়ি অবস্থান শেষে ভক্ত কুলকে কাঁদিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা ফিরে গিছেন। সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন আজ এই যাত্রাকে ফিরতি রথযাত্রা বলে আখ্যায়িত করে।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকে নালিতাবাড়ীতে শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দিরে মন্দিরে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়। দিন ভর ঠাকুরের ভোগের মাধ্যমে ঠাকুরকে নিবেদন করেন সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিকাল ৩ টায় জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা মাকে রথে চাপিয়ে নন্দালয়ে নিয়ে গেছে ভক্তবৃন্দ। দুপুরে নালিতাবাড়ী পৌরশহরের শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দিরের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রথের উদ্বোধন সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ওয়াজ করুণী, নালিতাবাড়ী উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু অরুণ চন্দ্র সরকার,সাধারণ সম্পাদক বাবু যুগেন্দ্র চন্দ্র রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সরকার,শহর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিবেক সাহা, নালিতাবাড়ী থানার এস.আই রিপন ,নালিতাবাড়ী উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু কালাচাঁন পাল ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় চন্দ্র সিংহ ও অন্যান্য ধর্ম প্রাণ নর-নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের এই রথযাত্রা। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করা হয় । সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর,জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
রথযাত্রা শেষে শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শত শত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং অংশগ্রহনকারী সকল ভক্তদের মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।