• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • উদ্ভাবন

    গাছের যত্ন নিলে পরীক্ষায় মিলবে অতিরিক্ত নম্বর

      প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২৩ , ১০:৪০:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

    জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা, প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধন ও ভারসাম্য রক্ষা এবং সবুজ পরিবেশ গড়তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা রোপণ ও পরিচর্যার প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলতে গাছের যত্ন নিলে তাদের ফাইনাল পরীক্ষায় যুক্ত করা হবে অতিরিক্ত নম্বর। সীমান্ত লাগোয়া ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের পক্ষ থেকে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থীদের এসব চারা দেওয়া হয়।
    প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে ফলজ গাছের চারা দিয়ে তাদেরকে বলা হয় যে এই গাছের যত্ন নিলে তাদের ফাইনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত পঞ্চাশ নম্বর দেওয়া হবে। আর যারা এই গাছের যত্ন নেবে না তাদেরকে পরীক্ষার মোট নম্বর থেকে পঞ্চাশ নম্বর কর্তন করা হবে।
    পরিবেশবাদী সংগঠন আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠন উপদেষ্টা ও রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এশিয়া সানি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যশনাল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জেসি জ্যাং ও মরটন সেনেটারিওয়ার ম্যানুফেকচার লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার পেনসন সি।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরী বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য সবাইকে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশিরভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ বন বিভাগের নিয়মনীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপক হারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, খাদ্য সমস্যাও এক সময় প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগের দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিন ভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়। তাও শিক্ষার্থীদের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতে এই উদ্যোগ।
    তিনি আরও বলেন, সবুজ-শ্যামল এ দেশটা আগের মতো আর নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে।
    অনুষ্ঠান শেষে দুজন বিদেশি নাগরিক পাঠাগার চত্বর ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি ওষধি গাছ ও দুটি ফলজ গাছ রোপণ করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content