প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২৩ , ১:২২:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা (বিলপাড়া) গ্রামে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন শংকরপাশা (বিলপাড়া) গ্রামের মোঃ লিটন বিশ্বাসের ৮ বছর বয়সী মেয়েকে একই এলাকার মৃত- আবু তালেবের ছেলে লম্পট মোঃ রবিউল বিশ্বাস(৪৮), চকলেট ও বিভিন্ন খাবারের লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতো এবং কারো কাছে বলে দিলে হত্যার হুমকি দিতো। ফলে ভিকটিম মেয়েটি ভয়ে কাহকে কিছু বলার সাহস পেতোনা। এব্যাপারে মেয়েটির মা জানান, আমার মেয়েকে লম্পট রবিউল বিভিন্ন খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করতো, মেয়ে ভয়ে আমাদের কিছু বলতো না, হঠাৎ একদিন আমার মেয়ে রাস্তা থেকে রবিউল ডাকলে মেয়ে বলে বসে আমি যাবোনা তুমি খারাপ কাজ করো, এই কথা আমার চাচি শাশুড়ী শুনে আমাকে জানাই, আমি মেয়ের কাছে সব শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ি, পরে স্থানীয় রাজ্জাক কাকাকে বিষয়টি বলি। মামলা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমার পরিবারের অভিভাবক রা যা করবে আমি তাই মেনে নিবো। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ার পর এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন জঘন্য এমন ঘটনাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায়না। তারা প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি নিজেদের মধ্যের ঘটনা তাই পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করেছি এব্যাপারে পত্রিকায় কোন নিউজ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি, টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছে এর বেশি কিছু আমি জানিনা। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, এরকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই, কোন অভিযোগ হয়নি যদি অভিযোগ পায় তবে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।