প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২৩ , ১২:৩৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
পঞ্চগড় নিজস্ব প্রতিবেদক
ইয়ামি ফুড দোকানের ম্যানেজার বলেন দুই জন ব্যক্তি আমার দোকানে আসে দোকানে র বিভিন্ন ক্রেতাদের ভিডিও ধারণ করা শুরু করেন। আমি জানতে চাইলে তিনারা সাংবাদিক পরিচয় দেন । আমার দোকানে র কেন ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে আমাকে বলেন এখানে ব্যবসা করতে হলে আমাদের নলেজে দিয়ে করতে হবে। এবং আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। তার কারণে আমি দেবীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার আনায়ন করেছি। সেখানে বিস্তারিত বলা আছে। বাদীর আনিত এজাহারে বলা হয়য়েছে,
আমি মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মৃত মজিবর রহমান, সাং- সোনাপোতা বানিয়াপাড়া, থানা- দেবীগঞ্জ, থানায় হাজির হইয়া আসামী ১। মোঃ নাজমুন সাকিব মুন (৩৩),আপনার সময়ের কণ্ঠস্বর, দেবীগঞ্জ
উপজেলা প্রতিনিধি, পিতা- মোঃ আব্দুল খালেক, সাং- দেবীগঞ্জ মধ্যপাড়া, ২) মোঃ সিরাতুল মোস্তাকিম (২৩), সাংবাদিক, দৈনিক নীলকথা, দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, পিতা- মোঃ আব্দুর রহিম, সাং- দেবীগঞ্জ কামাতপাড়া, থানা- দেবীগঞ্জ, জেলা- পঞ্চগড় দ্বয়ের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দাখিল করিতেছি যে, দেবীগঞ্জ বাজারে,,আলহাজ্ব লৎফর রহমান মার্কেটে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ সংলগ্ন ইয়ামি ফুড নামক দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছি। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন ইং ১২/০৭/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ইয়ামি ফুড দোকান খুলিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলাম। উক্ত তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ১নং ও ২নং আসামীদ্বয় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই উদ্দেশ্যে ইয়ামি ফুড দোকানে আসিয়া বিভিন্ন ক্রেতাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিছু মাস্ক পরিহিত নারী ক্রেতাদের মাস্ক খুলতে বলে । এবং আসামীদ্বয় তাহাদের ব্যবহৃত স্মার্ট মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। আসামীদ্বয়ের এরূপ কার্যকলাপের কারণে আমার দোকানে অবস্থানরত ক্রেতারা বিরক্ত হইয়া আমার দোকান হইতে চলিয়া যায়। ইহাতে করে আমার ব্যবসার ক্ষতি হইলে আমি আসামীদ্বয়কে ক্রেতাদের অনুমতি ব্যতিরেখে তাহাদের মাস্ক খুলতে বলা এবং ভিডিও ধারণ করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা মাত্রই ১ নং আসামী ক্ষিপ্ত হইয়া বলে তোমরা কি ব্যবসা করছো না অন্য কিছু করছো? আমি আসামীদ্বয়কে আমার দোকান মালিকের সহিত কথা বলতে বলিলে আসামীদ্বয় তাহাদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়া আমার নিকট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। আসামীদ্বয়কে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাঁদা না দিলে আসামীদ্বয় আমার ইয়ামি ফুড দোকানের নামে বিভিন্ন মিথ্যা ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দিয়া আমার দোকানের ক্ষতি করিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করিয়া আমার দোকান ত্যাগ করে। উক্ত সময় সাক্ষী ১। মোঃ জসীম উদ্দীন, পিতা- মৃত সামছুল হক, সাং- চতুরাডাঙ্গী সুতিপাড়া, ২। মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পিতা- মোঃ আব্দুল করিম, সাং- কামাত পাড়া, ৩। মোঃ জামিল হোসেন, পিতা- মৃত আব্দুল করিম, সাং- মিস্ত্রিপাড়া, সকলের থানা দেবীগঞ্জ, জেলা- পঞ্চগড়গণসহ আশেপাশের অনেকেই উপস্থিত ছিল। আসামীদ্বয় নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়া উপরোক্ত ঘটনা ঘটাইয়াছে। হেতু উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমার দোকান মালিকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সহিত পরামর্শ করিয়া আসামীদের বিরুদ্ধে অত্র এজাহার আনয়ন করিলাম। আসামীদ্বয়ের নাম ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক এজাহার দাখিল করিতে বিলম্ব হইল! দোকানের অবস্থানরত নং-৬৪৩২৫৯১১৩, জেলা- পঞ্চগড়।
এই বিষয়ে দেবীগঞ্জ-থানায় অফিসার ইনচার্জ সরকার ইকতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন আমি গতকাল রাতে এজাহার পেয়েছি ,, তবে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।