• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের খুঁটির জোর কোথায়, আবারো নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২৩ , ২:০৬:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কামাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি

    যশোরের অভয়নগরে বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ চলমান থাকলেও অদৃশ্য কোন কারণে, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তরফ থেকে নেওয়া হয়নি কোন আইনী পদক্ষেপ। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হয়ে পড়েছে দুর্নীতিগ্রস্থ। নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে বিভিন্ন স্কুলের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযোগ জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগের পাহাড় তৈরি হলেও কোনও ধরনের তদন্তও মানুষের চোখে পড়েনি। যে কারনে দিনদিন কতিপয় অসাধু চক্র নিয়োগ বানিজ্যের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের স্কুলে নিয়োগ দিয়ে চলেছে অনায়াসে। তারি ধারাবাহিকতায় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সুভাষ রায় ও প্রধান শিক্ষক কমল কান্তি মল্লিকের যোগসাজশে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের পায়তারায় মেতে উঠেছে। ফলে ওই অবৈধ নিয়োগ বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহল থেকে ২০জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ যশোর জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আনুঃ ৬ মাস আগে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ৪ জন কর্মচারি নিয়োগ দিবেন। ওই ৪জন প্রার্থীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তার প্রমাণ এলাকাবাসীর কাছে আছে। সুব্রত রায় নামে একজন নৈশ প্রহরী পদে আবেদন করে। দুর্নীতিবাজ সভাপতি ওই প্রাথীর বাবার কাছে ঘুষের টাকা দাবি করে। ফলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককের কাছে অভিযোগ করে। এবং তৎকালীন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ওই স্কুলের সভাপতির বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত হয়। ফলে ওই সময় নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। আবার নতুন করে, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাজশে দৈনিক গ্রামের কাগজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে, এলাকাবাসী নিয়োগ বন্ধ করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সমীর মন্ডলের স্ত্রী একজন অফিস সহায়ক পদের প্রাথী। ওই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তার স্বামীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করেছে। অন্যদিকে ফুলের গাতী গ্রামের বিশ্বজিৎ সরকারের ছেলে ল্যাব সহকারী পদের জন্য ওই দুর্নীতিবাজ সভাপতিকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। যা বিশ্বজিৎ ওই ১০লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করেছেন, বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। ফলে এলাকাবাসী প্রকাশিত নিয়োগ বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কান্তি রায় জানান, নিয়োগের বিষয়ে আমার কোন হাত নেই, নিয়োগ বানিজ্য যা কিছু হয়, সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির জানে, আমাকে সভাপতিসহ সবাই যা আদেশ দেন আমার তা পালন করতে হয়। এর বেশিকিছু আমি বলতে পারবোনা। এবিষয়ে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সুভাষ রায় মুঠোফোনে বলেন, আমি অনেক ঝামেলায় আছি অভিযোগ যা করেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি আপনাদের সাথে দেখা করে কথা বলতে চাই, এই বলে তিনি লাইন কেটে দেন। অভিযোগের বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content