• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা অপহৃত মোছাঃ ফারিহা খানম জেরিন কে ধর্ষণ ও হত্যাকারীকে র‍্যাব -১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

      প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২৩ , ১০:২৩:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    রায়হান উদ্দিন:-কক্সবাজার প্রতিনিধি

    গত ২৭ জুলাই ২০২৩ ইং সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম শিকদারপাড়া এলাকা হতে ৩য় শ্রেণীতে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু মোছাঃ ফারিহা খানম জেরিন (০৮) কে অপহরণ করা হয়। পরে ভিকটিমের মায়ের নিকট ০১৮৪৬-৪৫৫৫০৫ হতে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং মুক্তিপণ না দিলে সকালে মেয়ের লাশ পাবে বলে জানায়। অপহরণের খবরটি বেশকিছু সংবাদপত্রে প্রকাশ এবং একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি সম্পর্কে র‌্যাব-১৫ অবগত হওয়া মাত্রই র‌্যাবের একাধিক আভিযানিক দল ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে।

    এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ র‌্যাবের আভিযানিক দল মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত মোহাম্মদ এরফান (১৭), পিতা-মুঃ আলী আহমদ, মাতা-মরিয়ম আক্তার, সাং-পূর্ব পানখালী, ইউনিয়ন-হৃীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, সে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলী আহমদের ছেলে। ধৃত আসামী এবং ভিকটিম মোছাঃ ফারিহা খানম জেরিন বর্ণিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও দুঃসম্পর্কের মামা-ভাগ্নী। ঘটনার দিন অর্থ্যাৎ গত ২৭ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ বিকাল অনুমান ১৮.৩০ ঘটিকার সময় ফারিয়া খানম জেরিন বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি দোকানে গেলে আসামী এরফান খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার বাবার অফিস কক্ষে নিয়ে যায় এবং দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেধে তাকে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আসামী এরফান নাইলন দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিহিত কাপড়-চোপড় পলিথিনে করে আসামী এরফানের বাসার পার্শ্বে একটি নালায় লুকিয়ে ফেলে এবং গভীর রাতে লাশটি গুমের উদ্দেশ্যে উক্ত মাদ্রাসার পিছনে একটি নর্দমায় ফেলে চলে আসে। ধৃত আসামী আরো জানায়, সে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবী করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content