মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বেসরকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ জালাল উদ্দিনঃ

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে দেশের চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এই মানববন্ধন হয়েছে। রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৩ ইং, সকাল ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি, ভূনবীর দশরথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ঝলক কান্তি চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শ্রীমঙ্গল প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ দত্ত, হুগলিয়া হাজী মনসব উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল হাসান, হাজী রাশিদ মিয়া মেহেরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেন, শ্রীমঙ্গল উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রাণী দাশ, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আফজার মিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক আহমেদ, নবীর দশরথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর সহকারী প্রধান শিক্ষক দিপংকর দাশ, আব্দুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুজিত সেন, মনাই উল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাও: মোঃ জায়নুল আবেদীন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অর্থ সম্পাদক মাওঃ মোঃ আব্দুল মোতালিব, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুন্নী শীল-সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন প্রমুখ।
এ ছাড়াও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।

শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নেতারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পার হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজের বঞ্চনা আর বৈষম্যের অবসান হয়নি। সকল বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই। যদিও শিক্ষক সংগঠনগুলোর মতানৈক্যের কারণে শিক্ষক সমাজে হতাশা বিরাজ করছিল। জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে সকল শিক্ষক সংগঠন এক ছায়াতলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাসের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড় সমান বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বিগত কয়েক বছর যাবত অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। জাতীয়করণ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে অব্যাহত রাখারও হুশিয়ারি দেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে আমাদের দাবী মেনে নিন।

তারা আরো বলেন, আমাদের এক দফা এবং দাবি একটিই আমাদের জাতীয়করণ করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন রাজপথেই আন্দোলন চালিয়ে যাব। এমনকি যতদিন পর্যন্ত দাবি মেনে নেয়া না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব বলে জানান বেসরকারী শিক্ষকরা।