• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    প্রতিবন্ধীর ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ লক্ষ টার চেক জালিয়াতি

      প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২৩ , ১:৩৫:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিশ্বনাথ বর্মন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ লক্ষ টার চেক হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক আলমগীর হোসেন (পল্লী চিকিৎসক) ও প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক আলমগীর বাদশা নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

    জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের আরাজী পাড়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে কেরামত আলীকে প্রতিবন্ধী ভাতার কথা বলে বিশ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতি করেন একই গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (পল্লী চিকিৎসক)।

    ভুক্তভুগী কেরামত আলি জানান, ন্যাংরা আলমগীর আমাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে এবং বেশ কয়েক দিন ধরে এ কথা বলার পরে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রায় ২৬ দিন আগে আমাকে ঠাকুরগাঁও রোড অগ্রানী ব্যাংকে নিয়ে যায়, তারপর আলমগীর তার নিজের ২৫ শত টাকা দিয়ে আমার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয় এবং কিছু দিন পরে আবার আমাকে নিয়ে যায় ব্যাংকে তখন একটা চেকে ২ হাজার টাকা উত্তলন করে আবার আমার কাছে দুই টা চেকের পাতা নেয় একটা চেকের পাতায় আমার সই নেন আর একটা আমার সই ছাড়া।

    পরবর্তীতে ২০ দিন পরে আমার কাছে ব্যাংক থেকে একটি চিঠি পাঠাই আর সেই চিঠির মাধ্যমে জানতে পারি যে ব্যাংকে টাকা না থাকায় ২০ লক্ষ টাকা উত্তলন করতে যায় স্কুল শিক্ষক আলমগীর বাদশা। দ্রুত আমি আলমগীরের কাছে সেই চিঠি নিয়ে গেলে আর এই বিষয়ে জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন যে একটি চেকে আমার সই করে আলমগীর বাদশাকে ( মাস্টার) কে দেই। আর বাকি চেকের কথা যানতে চাইলে তখন তিনি আমার সই করা চেকটি ফেরত দেয় আলমগীর।

    এই বিষয়ে আলমগীর কাছে জানতে চাইলে তিনি চেক জালিয়াতি কথা স্কীকার করে বলেন, আমি একটি চেকে নকল সই করে আলমগীর বাদশার কাছে দেই। তবে জমির বিষয়ে সেই চেকটি তাকে দেয়, কোন জমির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেরামত আলী ও আলমগীর বাদশার পারিবারিক একটি জমির বিষয়ে আমি ছিলাম সেই জমির মিডিয়া আর সেই জন্য সেই চেকটি তাকে আমি দেই।
    এ বিষয় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক আলমগীর বাদশার কর্মরত বিদ্যালয়ে গিয়ে পাওয়া না গেলে একাধিক বার তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    চেক জালিয়াতি বিষয় স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়প্রকাশ ও পার্শ্ববর্তী ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, কেরামত আলীর নিকট ব্যাংকের চেক জালিয়াতি বিষয় আমরা জেনে আলমগীর হোসেন এবং আলমগীর বাদশার সাথে যোগাযোগ করলে তারা একটি চেকের পাতা ফেরত দেন কিন্তু জাল সই করা ২০ লক্ষ টাকার সেই চেকটি ফেরত দিতে টালবাহানা করেন।
    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান ব্যাংকের চেক জালিয়াতির বিষয় এখনো আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা প্রদান করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content