• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • ইসলামী জীবন

    একজন নির্লোভ সাধক আশেকি মাইজভাণ্ডারী হযরত শাহসূফি মৌলানা তফজ্জল আহমদ ফকির (রহঃ) এর বিদায়

      প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৪৬:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটিয়া( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-

    ফটিকছড়ি উপজেলার জাফত নগর ইনিয়নের, জাহানপুর গ্রামের,কোটের পাড়স্থ খাজা গরীবে নেওয়াজ আস্তানার একনিষ্ঠ খাদেম।বাবা ভাণ্ডারী কেবলা কাবার খলিফা।হযরত মৌলানা শাহসুফি আবু আহম্মদ(প্রকাশঃ-জীবনী ফকির)এর সুযোগ্য সাহেবযাদা হযরত মৌলানা শাহসুফি তফজ্জল আহম্মদ ফকির মাইজভান্ডারি।
    তিনি শিশু কাল থেকে,তাহার বাবা হযরত মৌলানা শাহসুফি আবু আহম্মদ ফকিরের সাথে মাইজভান্ডার শরিফ যেতেন।মাইজভাণ্ডার শরীফের আল্লাহর মুকবুল অলিদের কাছে, নিজেকে সোপর্দ করার মাধ্যমে,তিনি হয়েছেন ফানাফিল্লাহ।কখনো নিজে ঘর সংসার করবার কথা ভাবেননি।কোটেরপাড়স্থ উচু টিলার বৌদ্ধদের চিতার দক্ষিণ পাশে,তাহার বাবার প্রতিষ্ঠিত খাজায়ে হিন্দুস্থান,খাজা গরীবে নেওয়াজের আস্তানা শরীফের খেদমতে,সবসময় নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি খেদমত ও প্রচার প্রসারে আদব ও শ্রদ্ধার সহিত সারা জীবন খেদমত করেছেন। তিনি শুধু মাত্র আল্লাহ ও তাহার মুকবুল অলিদের প্রেমে মগ্ন হয়ে,এ গহিন বনজঙ্গলে ঘেরা,বৌদ্ধ শ্মশানের পাশে,একখণ্ড জায়গার ওপর, ছোট একটি বেড়ার ঘরে বসবাস করতেন।আর খাজা গরীবে নেওয়াজের আস্তানা শরীফের খেদমত করতেন।তখনকার সময় ঐ জায়গাটি খুবই ভয়ানক ছিল।একটি টিলার একপাশে বৌদ্ধদের শ্মশান।অন্য পাশে খাজাগরিবে নেওয়াজের আস্তানা।সম্পূর্ণ টিলাটি বনজঙ্গলে ঘেরা ছিল।জন মানব শুন্য ছিল।জ্বীন,পরী,ভূতের আনাগোনা ছিল ঐ টিলার মধ্যে। স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে ঐ টিলার ভয়ানক গল্পশোনা যায়।কিন্তু তিনি এই ভয়ানক জঙ্গলে,আল্লাহর মকবুল অলিদের প্রেমে বিভোর থাকতেন।সেখানেনএবাদত রিয়াজত করতেন।তিনি ঐ ভয়ানক জায়গায় আল্লাহর অলিদের প্রেমে, নির্ভয়ে,নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।একজন মানুষ আল্লাহ ও তাহার মকবুল অলিদের প্রেমে কতটা মগ্ন হলে,এই গহীন জঙ্গলে ঘরসংসার বিহীন বসবাস করতে পারেন?তা স্বচক্ষে না দেখলে কল্পনা করা কঠিন।উক্ত স্থানটি তিনি নামাজ,রোজা,মাইজভান্ডারি জিকির,ছেমা মাহফিল,ঢোল বাজনার মাধ্যমে প্রায় সময় সরগরম রাখতেন।তাহার সৎ পরামর্শ ও সহযোগিতায়,এলাকায় এবং সমাজের বি-পথে পরিচালনা হওয়া,অনেক নারী পুরুষ, ওনার সান্নিধ্যে এসে,সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছেন।ওনার সান্নিধ্যে এসে অনেক নারী পুরুষ নিয়মিত নামাজ,রোজা,জিকির আজকার করেন,নিয়মিত মাইজভান্ডার শরীফ হাজিরা দেন।প্রতিনয়ত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ওনাকে মুহাব্বত করে ওনাকে দেখতে ও ওনার পরামর্শ নিতে আসে।তিনি অসুস্থ হওয়ার আগের সময় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মাইজভান্ডারি মাহফিলে যোগদান করতেন।মাইজভাণ্ডারী কালামের সুনাম ধন্য লেখক মাইজভাণ্ডারী গানের অন্যতম গীতিকার খলিফায়ে বাবা ভাণ্ডারী, প্রয়াত সৈয়দ আমিনুল হক ধর্মপুর (কঃ) এর সহিত তাহার ভাল সু-সম্পর্ক ছিল।ওনার সাথেও বিভিন্ন সময় মাইজভান্ডারি মাহফিল(বৈঠক)করেছেন।

    তিনি অত্র এলাকার পুরানো মাইজভাণ্ডারী আকিদার মানুষ ছিলেন।অত্র এলাকায় মাইজভাণ্ডারী জোয়ার সৃষ্টিতে তাহার অবদান রয়েছে।তিনি মাইজভান্ডারি গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ,জাহানপুর শাখার প্রতিষ্টাতা।তিনি উক্ত দায়রা শরীফের একজন প্রবীণ ব্যক্তি হিসাবে সুপরামর্শ দিয়ে থাকতেন।
    তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসাবে কবুল করুন আমিন।

     

    আরও খবর

    Sponsered content