ঈশ্বরদীতে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্কে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মোঃ মেহেদী হাসান, ঈশ্বরদী:

পাবনার ঈশ্বরদীতে আবারও বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। কুকুরের কামড়ে অহরহ আক্রান্ত হচ্ছে মানুষের পাশাপাশি গোবাদীপশু ,ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন সংকটের কারণে চিকিৎসা নিতে পারছে না আক্রান্তরা,ঈশ্বরদী উপজেলাসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে দলে দলে ছড়িয়ে পড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো,ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো,দল বেঁধে রাস্তায় ও বাড়িঘরের আঙ্গিনায় চলাচল করছে এসব কুকুরগুলো। এদের আক্রমণে মানুষসহ বিভিন্ন পশু ও প্রাণী আক্রান্ত হচ্ছে,এ ছাড়াও কিছু কুকুর শরীরে ক্ষত ও পচনসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আক্রান্ত এসব কুকুরের শরীর থেকে ছড়াচ্ছে নানা রকমের রোগ জীবাণু এবং দুর্গন্ধ,পথ চলতে জনমনে সবসময় বিরাজ করছে কুকুরের আতঙ্ক,অসুস্থ এসব কুকুরের বিচরণে এলাকায় মানুষের চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে। পথচারী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা এখন কুকুর আতঙ্কে ভুগছে,বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিয়ন্ত্রণে সরকারি বা এলাকাভিত্তিক কোন উদ্যোগ নেই । ফলে দিনে দিনে বেড়েই চলছে জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যধি,সরেজমিনে দেখা যায় ঈশ্বরদী বাজার,রেলগেট,রেলওয়ে বুকিং অফিস, রেলওয়ে মালগুদাম, হাসপাতাল মোড়, বকুলের মোড়, আমবাগান, আলহাজ্ব মোড়,পোস্ট অফিস মোড়, ঠাকুরবাড়ী,চাঁদ-আলী মোড়, ঈশ্বরদীর পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে দিনে-রাতে ডজন ডজন বেওয়ারিশ কুকুরের দল সঙ্গবদ্ধ ভাবে ঘুরে বেড়ায়। কখনও কখনও রাস্তার মাঝে বসে এবং শুয়ে থাকাও দেখা যায়,ফলে স্কুল-মক্তবগামী শিক্ষার্থীরা ভয়ে স্কুল ও মসজিদে যেতে পারে না। পথচারীরা একা একা রাতে এসব রাস্তা দিয়ে পথ চলাচল করতে ভয় পায়।এমনকি শিশুদের হাতে কোন খাবার থাকলে বা দেখলে তারিয়ে আসে। ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইছাহক আলী মালিথা জানান, আজ থেকে কয়েক বছর আগে সারাদেশে পাগলা কুকুর, অসুস্থ কুকুর সহ বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হতো। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে নিরীহ প্রানীকে হত্যার বিষয়টি মানবতা পরিপন্থী হওয়ার কারণে বর্তমানে কুকুর নিধন করা হয় না ,ফলে ঈশ্বরদীর সর্বত্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে নিরীহ প্রাণীকে হত্যার বিষয়টি মানবতা পরিপন্থী হওয়ার কারণে বর্তমানে কুকুর নিধন বন্ধ করে ভ্যাকসিনাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রদান করা হবে।