প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৫১:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
হারুনুর রশিদ কাহালু বগুড়া প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আর মাত্র ক,দিন বাকি। এরই মধ্যে কাহালু বাজারের বিপনী বিতান গুলোতে ঈদের কেনাকাটায় বেশ জমে উঠেছে। রোজার শুরুর দিকে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত হলেও এখন তাঁরা বেশ খুশি। ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে বিপনী দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে ঈদ কেনাকাটায় পরুষদের চেয়ে মহিলা ক্রেতাই বেশি। বেশ দরদাম করেই জামা কাপড় কিনছেন তাঁরা। ক,দিন ধরে ঘনঘন বিদ্যুতের অব্যাহত লোড সেডিংয়ে দোকানি ও ক্রেতারা অস্বস্থিতে হাঁফিয়ে উঠলেও থেমে নেই বেচাকেনা। প্রচন্ড তাপদাহ ও দুঃসহ গরম উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। ঈদ কে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা দোকানে ক্রেতাদের সহজে আকৃষ্ঠ করতে নানা রঙের তৈরি পোষাক সাজিয়ে ও ঝুলে রেখেছেন। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে আপনজন ও প্রিয় জনদের সাথে নিয়ে নতুন জামা কাপড় কিনতে দোকানে ছুটছে ক্রেতারা। বিশেষ করে মহিলারা পরিবারের আপনজনদের সাথে নিয়ে তাদের পছন্দ মত জামা কাপড় কেনাকাটা করছেন। ঈদ ঘনিয়ে আসায় থান কাপড় না কিনে তৈরি পোষাক কিনতে রেডিমেট দোকান গুলোতে ভিড় করছে অনেকে। দোকান গুলোতে শাড়ি, লঙি, শার্ট, পান্জাবি, থ্রিপিচ, ছালোয়ার কামিচ,ছোটদেরর জামা কাপড় সহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাকের দিকে চোখ রাখছে ক্রেতারা। এদিকে কাহালু বাজারের রাজু ক্লথ ষ্টোর, আতিক ক্লথ স্টোর ও মাহিবী ক্লথ স্টোরের ব্যবসয়াীরা জানান, রোজা শুরুর প্রথম দিকে বেচাবিক্রি কম হলেও শেষ মুহূর্তে বেশ বেচাকেনা হচ্ছে। তবে দিনের শুরুতে বেচা বিক্রি বাড়লেও দিন শেষে ক্রেতা কম থাকায় বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে আসে। তবে গত ঈদের চেয়ে কম বেচাকেনা হচ্ছে এবারের ঈদে। এদিকে কাহালুর দর্জি পাড়ায় খােঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেইলার্স থেকে অর্ডার নেয়া কাপড় তৈরিতে কারিগররা কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করলেও ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাঁরা অর্ডার নেয়া কাপড় সময় মত ডেলিভারি দিতে পারছেন না। বিদ্যুৎ অভাবে দর্জি কারিগরদের কিছুটা অলস সময়ও পার করতে হচ্ছে। এতে করে টেইলার্সের শোরুম থেকে তৈরি পোষাক নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেক কে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। নাজির টেইলার্সের আব্দুল জলিল জানান, এখন পর্যন্ত আমরা পোষাক তৈরির অর্ডার নিচ্ছি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তারিখ মত ডেলিভারি দেয়া যাচ্ছে না। দর্জি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলা হলে তাঁরা জানান,এবারের ঈদে পোষাক তৈরিতে ব্যস্ততা থাকলেও বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে পোষাক তৈরিতে বিঘ্ন ঘটছে। দিনের বেশির ভাগ সময়েই বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। এতে তাদের আয় রোজগারও কম হচ্ছে।