• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    রাজশাহীতে হাতকড়া পরানোর অপব্যবহার করায় এসআই আমিনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৩ , ২:৩৭:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শিবলী সাদিক রাজশাহী

    আরএমপি’র শাহ্ মখদুম থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আমিনুলের বিরুদ্ধে সংবাদদাতাকে নিয়মবহির্ভূত পন্থায় হাতকড়া পড়ানো, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টাসহ ব্যক্তিগত ডিভাইস হস্তগত করে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শেখ মোঃ রোমেল সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কোন প্রকার বিচার বিবেচনা না করেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে আসা নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি ভুক্তভোগীর। অভিযোগকারি রোমেল পেশায় একজন সাংবাদিক। তাই স্বাভাবিক কারণেই সমাজে রয়েছে তার আলাদা একটি সম্মান ও মর্যাদা।

    ‘সব আসামিকে হাতকড়া পরানো আবশ্যক নয়’ শিরোনামে গত ৯-৫-২০২০ ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার লিখেছিলেন, বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পুলিশকে দিয়েছে। আদালতের পরোয়ানা বলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়। সব ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তার মানে হলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর গ্রেপ্তারকারী কর্তৃপক্ষের শারীরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। সে জন্য তাকে হাতকড়া পরানোর প্রয়োজন হতে পারে। তবে অপরাধীর ধরনের ওপর নির্ভর করে পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। আসামির সামাজিক অবস্থান এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কাউকে হাতকড়া পরালে তিনি নিগৃহীত বিবেচ্য হন। তাই এখানে বিবেচনাবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সংগত। তুচ্ছ ও অনির্ভরযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি, যিনি গ্রেপ্তার এড়াতে শক্তি প্রয়োগ করবেন না, যাঁর সামাজিক মর্যাদা রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরও কখনো কখনো হাতকড়া পরাতে দেখা যায়। কিন্তু বিষয়গুলো অনুচিত। ভুক্তভোগী রোমেল রাজশাহী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।

    উল্লেখ্য যে, হাতকড়া ব্যবহার নিয়ে মহামান্য আদালত বলেন, হাতকড়া বা দড়ির ব্যবহার প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় এবং অমর্যাদাকর। অন্যদিকে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭১ ধারা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত সাক্ষিকে কোন অবস্থায় হাতকড়া পরানো যাবেনা। কিন্তু সেই কার্যবিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল সাংবাদিক রোমেলসহ তার সহকর্মীকে হাতকড়া পরিয়ে থানা অবদি নিয়ে আসেন। এখানেই শেষ শেষ হয়নি এসআই আমিনুলের ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিধি। তিনি ঐদিন রাত্রি একটা পর্যন্ত সাংবাদিক রোমেলকে থানায় আটকাবস্থায় রাখেন। অবশেষে যাচাই বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদের পর অপরাধের সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ততা না পেয়ে ওসির নির্দেশে রোমেলসহ দুই সাংবাদিককে ছেড়ে দিলেও রোমেলের অফিসিয়াল সেলফোনটি এসআই আমিনুল কেড়ে নেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে পরেরদিন মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন অভিযুক্ত এসআই আমিনুল।

    গত ১০ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে রাজধানীর আগারগাওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একপ্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অভিযোগ ব্যতীত কারো ব্যক্তিগত ডিভাইস চেক করলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন ভুক্তভোগী।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট বিকাল ৪টায় রুবি (সোর্স) নামের একজন নারী ফোন দিয়ে সাংবাদিক রোমেলকে জানায়, শাহ মখদুম থানাধীন নওদাঁপাড়া রোডপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে দুজন যুবতী মেয়ে নিয়মিত ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করেন। এছাড়াও ঐ বাড়িতে নিয়মিত মাদকসেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। আমি (সোর্স রুবি) তাদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে চাই। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঐদিন বিকাল ৪টায় সাংবাদিক রোমেল তার সহকর্মী ও ছোট ভাইকে দিয়ে শাহমখদুম থানার (সেকেন্ড অফিসার) এসআই আমিনুলকে ফোন করে সংঘটিত ও চলমান অপরাধ সম্পর্কে অবগত করে। তারই ভিত্তিতে এসআই আমিনুল সংবাদদাতাকে থানায় আসতে বলে। সে মোতাবেক রোমেল সহ সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও প্রতিবেশি ছোট ভাই রয়েল থানায় আসে। তাদেরকে নিয়ে এসআই আমিনুল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আগে থেকেই নারী সোর্স রুবি দাঁড়িয়ে ছিলো। সোর্স এসআই আমিনুলকে বাড়ি দেখিয়ে দেয়। এরপর এসআই আমিনুল তাদের সবাইকে বাড়ির বাইরে রেখে তিনি বাসার ভেতরে একাই প্রবেশ করে তিন নারীকে আটক করেন। নারী সোর্সের তথ্য অনুযায়ী নদী নামের এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ওই বাড়ির বসতঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিছুক্ষন পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান। পুলিশের গাড়ি পৌঁছানো মাত্রই অভিযুক্ত আমিনুল সাংবাদিক রোমেল ও তার সহকর্মীর হাতে হাতকড়া পরিয়ে জোড়পূর্বক গাড়িতে তুলে থানায় পাঠায়। থানায় হাতকড়া পরানোস্থায় একঘন্টা ডিউটি অফিসারের রুমে বসিয়ে রাখার পর হাজতের ভেতরে প্রেরণ করে! প্রায় সোয়া ঘন্টা পর এসআই আমিনুল ঘটনাস্থল থেকে সোর্স রুবি-সহ চারজন নারীকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর ঐ সোর্স ও আটককৃতদের দেয়া জবানবন্দি নিয়ে সাংবাদিক মহলের যৌতিক চাাপেরমুখে আমিনুল সাংবাদিক রোমেল সহ তার সহকর্মীকে রাত্র একটার সময় থানা থেকে ছেড়ে দেন।

    পুলিশি ক্ষমতার এমন অপব্যবহার আর ডিভাইস কেড়ে নিয়ে সেটি নিজের হস্তগত করে রাখার বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য সাংবাদিক রাব্বানী সহ আরো অনেকের। এসআই আমিনুলের এমন ধরণের আচরণ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পরেছিলেন শাহ্ মখদুম থানার অফিসার্স ইনচার্জ নিজেও। বিষয়টি গুরুতর ভাবে দেখা হবে বলে আশ^াস দেন শাহ মখদুম থানা জোনের ডিসি।

    পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বরাবর রোমেলের দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দেও দেয়া তথ্যানুযায়ী, অভিযুক্ত এসআই আমিনুলের সাথে সখ্যতা রয়েছে গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারী ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা ঐ দুই নারীর। প্রায়শই এসআই আমিনুল ঐ দুই নারীর বাসাতে আসা যাওয়া করেন। সাংবাদিক রোমেল সোর্সের দেয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশের সহোযোগিতায় মাদক কারবারীদেরকে ধরিয়ে দেয়া ও সেটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই কাল হয়ে দাড়িয়েছিল আমিনুলের জন্য। তাই অভিযুক্ত আমিনুল পরিকল্পিতভাবে তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অসৎ অভিপ্রায়ে নিয়মবহির্ভুত পন্থায় হাতকড়া পরিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে

    আরও খবর

    Sponsered content