• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    তানোরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় জামায়াত নেতাসহ চারজন গ্রেফতার

      প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২৩ , ৩:১৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোর প্রতিনিধি:

    তানোরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় জামায়াত নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছেন তানোর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন জামায়াতের আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন ও সেক্রেটারি ডিএম আক্কাস আলী । আটককৃতদের বুধবার দুপুরের দিকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। হঠাৎ এমন গ্রেফতার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে। ফলে শান্তিপ্রিয় তানোরে হঠাৎ কেন এমন আটক করা হল এমন দাবি জনসাধারণ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, সদ্য প্রয়াত আল্লামা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাযার নামাজ পড়ার দায়ে মুণ্ডুমালা পৌরসভার জামায়াতের আমির প্রভাষক আনিসুর রহমান, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বর্ষিয়ান ব্যক্তি মাওলানা আমির হোসেন, চান্দুড়িয়া ইউপি জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ও একই এলাকার আবু বক্কর স্কুল এন্ড কলেজের বিএসসি শিক্ষক শরিয়তুল্লাহকে আটক করা হয়।শুধু আটক না মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন জামায়াত নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এত দিনে কোনকিছু হলনা, আর গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়ার দায়ে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করা হচ্ছে। এসব কি মানুষ বুঝে না। আটক করে বিস্ফোরণ মামলা দেয়া হয়। নেতাদের দাবি সাবেক জামায়াত নেতা আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়ার দায়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে নাশকতা মামলা ছিল এবং এআশংকা থেকেই নাকি আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান,বিশেষ করে মুন্ডুমালা মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের নামে ও শিক্ষক শরিয়তুল্লাহ জামায়াতের কোন কর্মীও না এবং তাদের নামে কোন মামলা নেই তাহলে কেন তাদের কে আটক করা হল। এসব ক্ষমতার অপপ্রয়োগ। গায়েবানা জানাজার নামাজের কারনেই আটক করা হয়েছে। বিশেষ করে মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বর্ষিয়ান ব্যক্তি মাওলানা আমির উদ্দিন ও বিএসসি শিক্ষক শরিয়তুল্লাহ দলের কর্মীও না।
    উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন ও সেক্রেটারি ডিএম আক্কাস আলী বলেন, শুধু এখানে না সারা দেশেই এমন গায়েবি অভিযান চালিয়ে নাশকতার ধূয়া তুলসী পাতার বয়ান শুনানো হচ্ছে। আটকের পর ৮৫ ধারায় বিস্ফোরণ মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আমরা জেল জুলুম মামলা হামলা এসব মাথায় নিয়ে পথচলি। বিশেষ করে কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও আবু বক্কর স্কুল এন্ড কলেজের বিএসসি শিক্ষক শরিয়তুল্লাহ কে আটক করে এধরণের মামলা দেয়া কতটুকু আইন সম্মত জনগণ বিচার করবেন। আর কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করে নাশকতার কথা বলা হচ্ছে এসব আর বাংলার তৌহিদী জনতা মানবেনা। কারা নাশকতা করে দেশবাসী সবই জানে। আইন আদালতের উপর আমরা শ্রদ্ধাশীল।
    থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, নাশকতার আশংকা থেকে ও আটককৃত দের বিরুদ্ধে আগে থেকে মামলা ছিল। গায়েবানা জানাজার নামাজের জন্য নাকি আটক ও তাদের বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল নাশকতা করার প্রস্তুতি ছিল তাদের এজন্য গ্রেফতার করে নিয়ম অনুযায়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content