• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    সুরমা নদীর পেটে আস্ত গ্রাম

      প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৫৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ সুমন আহমেদ, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ

    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় দির্ঘ দিন থেকে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত বাল্কহেড চলাচলে উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন, হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীর ঘেঁষা গ্রাম,বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা,সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা। গত ২০ বছরে কাঞ্চনপুর ও হরিপুর গ্রামের ১০০ টির উপরে পরিবারের জমি বসত-ঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। উপজেলার নদী-তীরবর্তী গ্রামের শত শত পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

    জানা যায়,উপজেলার নদী পাড়ের দোহালিয়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর ও হরিপুর নদী ভাঙনের কবলে পরেছে। হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বসত-ঘর বাজার মাদ্রাসা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    দির্ঘ কয়েক বছর থেকে অতিমাত্রায় ভাঙন দেখা দেয়ায় কাঞ্চনপুর গ্রামের অর্ধেক অংশ এখন নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন আরও বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তীব্র ভাঙনে বসতবাড়ি বিলিন হয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকার ভাঙন কবলিতরা। গ্রামবাসীরা জানায়, অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলকারী বালুর বাল্কহেড বন্ধ না হলে তীরবর্তী গ্রামগুলো বিলীন হয়ে যাবে। এমনিতেই পরিবার নিয়ে সাধারণ ভাবে দিনযাপন করছে মানুষ। এর মধ্যে নদী ভাঙ্গন নামের আরেক আতঙ্ক যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় নদীর পাড়ের খেটে খাওয়া মানুষের ঘুম নেই দু-চোখে। কাঞ্চনপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হক জানান, কয়েক বছর ধরে এখানে নদীভাঙন চলছে। এই নদীতে তাদের ৪ একর জমি বিলীন হয়েছে। তাদের অবশিষ্ট বসতবাড়িতেও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা না নিলে তাদের বসত-ভিটা শেষ অংশটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি আরোও জানান এ গ্রামটির চার ভাগের তিন ভাগ অংশ ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। মোহাম্মদ আলী গেদা বলেন তার তার ঘরটি ছিল নদীর মধ্যখানে কিন্তু ভাঙ্গনের ফলে আজ অন্যের বাড়িতে মাথা গুজার টাই নিয়েছি।হরিপুর গ্রামের সুনিল অধিকারী বলেন আমিসহ আমার গ্রামের প্রায় ২০টি ঘর আজ সুরমার পেটে, দিনমুজুরি করে পরিবার চালাই নতুন জমি নিয়ে ঘর তৈরি করা আমাদের জন্য কঠিন।

    নদীর তীরের বাসিন্দা নুর ইসলাম জানান তার বাড়িতে এক বিঘা জমি ছিলো কিন্তু নদীতে তার পুরো বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এখন নদী থেকে অনেক দুর গিয়ে এক শতক জমি কিনে কোনমতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।

    একই গ্রামের গৌছ আলী, বলেন নদীর তীরে তার একটি ঘরে তারা সাতজন সদস্য বসবাস করেন। বাল্কহেডের ঢেউয়ে প্রতিদিনই তার বসতভিটা ভাঙছে এমন হতে থাকলে মাথা গুজার বসতঘর ছাড়তে হবে

    স্থানীয়রা জানান বর্ষায় নদীতে প্রচুর স্রোত থাকে। এ মৌসুমে বালু পাথর ইটের বাল্কহেড এই নদী দিয়ে বেপরোয়া চলাচলের কারনে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাল্কহেড যখন যায় তখন প্রচুর ঢেউ ও স্রোত সৃষ্টি হয় তখন নিচ থেকে মাটি ছিড়ে নিয়ে যায়। সরকারের পক্ষথেকে ব্যবস্থা না নিলে সর্বশেষ অবশিষ্ট বসতবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান

    দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম বলেন গ্রামটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাবর আবেদন করেছি।

    আরও খবর

    Sponsered content