• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    তানোরে রাস্তার গাছ কেটে চুল সেলিমের পাকা বাড়ি নির্মান

      প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২৩ , ১২:৪৩:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোর প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরে রাস্তার সরকারি গাছ কেটে  পাকা বাড়ি নির্মান করছেন চুল সেলিম বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার মাদারিপুর বাজারের দক্ষিণে ঘটে রয়েছে গাছ হত্যার ঘটনাটি। শুধু শিশু গাছ না বাড়ি নির্মানের শুরুতে নিম গাছ ও ছোট তালগাছও নিধন করেছে সেলিম বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। রাস্তার গাছ এভাবে হত্যা করা হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বাড়ি দোকান নির্মানের দোহায়ে উজাড় হতেই আছে গাছ। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। ফলে গাছ খেকো ও অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।
    সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার মাদারিপুর বাজারের দক্ষিণে পাকা বাড়ি নির্মান করছেন অবৈধ চুল কারখানা ব্যবসায়ী সেলিম। তার বাড়ি কামারগাঁ ইউপির সীমান্ত সংলগ্ন নাকলগ্রামে। বাড়ি নির্মানের শুরুতে বড় সাইজের শিশু গাছসহ ছোট নিম তাল গাছ ছিল। নিম তালগাছ রাতের আধারে কেটে ফেললেও শিশু গাছটি কাটতে পারেননি। এজন্য প্রথমে শিশু গাছটির মাথা ডালপালা কেটে ওষুধ প্রয়োগ করেছেন যাতে করে গাছটি মারা যায়। বাড়ি নির্মানের শুরুতে গাছের মাথা কর্তনের বিষয়ে চুল সেলিমকে বলা হলে তিনি বলেন, বাড়ি নির্মানের সমস্যা হচ্ছে এজন্য মাথা কাটা হয়েছে। সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন না করে কাটলেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, কত বড়বড় গাছ কেটে ফেলছে কিছুই হচ্ছে না, আমার টাই সমস্যা হল বলে এড়িয়ে যান তিনি।
    স্থানীয়রা জানান, রাস্তার গাছগুলো নানা ভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে। শুধু সেলিম না, বাজারে রাস্তার পশ্চিমে বিশাল মার্কেট নির্মাণ করছেন কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম। মার্কেট নির্মাণের দোহায়ে বিশাল বড় আকারের আম গাছের ডালপালা কেটে পলেথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে, যাতে করে কোউ বুঝতে না পারে। আর সেলিম তো তরতাজা শিশু গাছ মেরে ফেললো। তার বাড়ি নির্মানের আগে বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছটিতে নতুন ভাবে পাতা আসছিল। আমরাও মনে করেছিলাম গাছ মরবে না। কিন্তু মাথা কাটার পর কোন না কোন ওষুধ দেয়ার কারনে মরে গেছে। এখন গাছের পাতা নাই, খুটির মত দাড়িয়ে আছে গাছটি। উপজেলায় বন জঙ্গল নির্বিচারে উজাড় করা হয়েছে। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে গাছ খেকোরা। বিশেষ করে যত্রতত্র ভাবে অসংখ্য করাত কল গড়ে উঠার কারনে গাছ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
    সুত্র মতে, সরকারি রাস্তার গাছ দুরে থাক নিজের পৈতৃক ভিটার গাছ কাটতে হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিতে হবে মর্মে আইন করা হয়েছে। কিন্তু আইনের কোন প্রয়োগ নাই। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলেও এউপজেলায় এখনো গাছ বন জঙ্গল রক্ষার জন্য তেমন ভাবে মাঠে নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
    বিএএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, অনুমতি ছাড়া রাস্তার গাছ মেরে ফেলার কোন এখতিয়ার নেই। ঘটনাটি আমার অজানা, খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content