ওয়াহিদুর রহমান,জগন্নাথপু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুরে কাটা নদীর উপর ভেঙে যাওয়া জোড়াতালি ঝুঁকিপূর্ণ সেই বেইলী সেতু ফের চালু করতে মান্ধাতা আমলের গাছ-বাঁশ দিয়ে ফাইলিংএর কাজ চলছে।এতে স্বস্তির চেয়ে অনেক বেশী অস্বস্তিতে ভুগছেন ভূক্তভোগী জন-সাধারণ।পূনঃরায় আবারও কি অপেক্ষা করছে যাতায়াতকারী জনগনের নসিবে। শনিবার(২৬ আগস্ট) সরেজমিন কালে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর ভাঙ্গা অংশে গাছের ফাইলিং বসানোর কাজ চলছে, এবং মাটিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।
এ-সময় সেতুটির কাজের তদারকি করছিলেন, নিজের দায়ভার অন্যের ঘাড়ে দিয়ে মরার উপর টাকার-গা মৃত-ট্রাক চালক ফারুক মিয়ার উপর তিন কোটি টাকার ব্রীজের ক্ষতিপূরণ মামলার বাদী ও রাতের আধারে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড দুর্ঘটনাকবলিত সেতু এলাকায় লাগানোর মূল হোতা সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান।আগামী মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক ভাবে চলবে বলে জানান প্রকৌশলী।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট সুনামগঞ্জ থেকে জগন্নাথপুর হয়ে ঢাকা আঞ্চলিক মহসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ইছগাঁও এলাকায় স্থানীয় কাটা নদীর উপরে থাকা
পুরনো তার ও রড দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর এপ্রোচ অংশ ভেঙে সিমেন্ট ভর্তি ট্রাক নদীতে পড়ে গেলে চালকসহ ২জন নিহত হন।এ-ঘটনার পর থেকে এ-সড়কে যানবাহন চলাচল ও জনসাধারণের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।তাই ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামত কাজ করছে সওজ।
কিন্তু এই মান্ধাতা আমলে ২০১২সালের নামকা ওয়াস্তে কাটা নদীর উপর নির্মিত অনভিজ্ঞ লোকধারা তাড়াহুড়া করে জোড়াতালি দিয়ে পূনঃরায় মেরামত করে যানচলাচল চালু করাটা কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে জন-সাধারণের মাঝে যতেষ্ঠ আতংক বিরাজ করছে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে মানুষের জান-মাল রক্ষারর্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাটানদীর উপর নির্মত বেইলী সেতুর পরিবর্তে স্হায়ীভাবে পাকা সেতু তৈরী করাটা একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
তাই পকা সেতু নির্মানে আমাদের অভিভাবক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সর্বস্তরের জন-সাধারণ।