• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    ডুমড়া আখড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, একদিকে গ্রামবাসী, অন্যদিকে আখড়ার কর্তা

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৯:১৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি-

    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরের ডুমরা গ্রামবাসি বলছেন প্রায় ৪শ” বছর পূর্বের প্রতিষ্ঠিত ডুমরা রামকৃষ্ণ আখ্ড়ার কর্তা গুরুচরন দাস মোহন্ত আখ্ড়া ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু গুরুচরন দাস মোহন্ত (কর্তা) বলছেন ভিন্ন কথা। সোমবার ২৮আগস্ট বেলা ১১টায় ডুমরা রামকৃষ্ণ আখ্ড়ায় গেলে এরূপ খবরের সন্ধান মেলে।
    ওই সময় শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক ও ডুমরা গ্রামের মৃত বরদাচরন দাসের পুত্র তরুন কান্তি দাস বলেন, বার বার আমাদের আখ্ড়ার কর্তা গ্রামে অশান্তির সৃষ্টি করেন, ধর্মীয় কাজে এসে তিনি শুধু মামলা আর মামলায় জড়িয়ে আছেন, তাই আমরা গতকাল বসছিলাম, কর্তা আমাদের কমিটির নিয়ন্ত্রনে থাকবেনা, এই ছিল তার মূল ভিউ, উনি মনে করেন আখ্ড়া উনার পৈতৃক সম্পত্তি।
    শাল্লা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও একই গ্রামের মৃত যোগেশ চন্দ্র দাসের পুত্র এড. দিপু রঞ্জন দাস বলেন কর্তা ডুমরা, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও তথা এলাকার ধর্মপ্রান সহজ-সরল লোকজনের সরলতার সুযোগে গত ২৮বছরের আখ্ড়ার কোনো হিসাব আমাদের কমিটিকে দেবেন না, এনিয়ে তার সাথে আমাদের মনোমালিন্য দেখা দিলে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিমাংশার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কর্তা উনার কথা অমান্য করে কর্তা কর্তার মতোই অনৈতিক জীবন-যাপনে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। পরে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুর হস্তক্ষেপে আবারো একটি সমন্বয় হয়। এতে কর্তা চলতি মাসের ২৫ তারিখ আখ্ড়া ছেড়ে চলে যাবার কথা। আমরা এখন খবর পেয়েছি, কর্তা দীর্ঘ ২৮বছরে আখ্ড়ার অনেক দেবোত্তর সম্পত্তি বিভিন্ন লোকে কাছে বন্ধক রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা ও পুরাতন প্রতত্বন্ব নিয়ে আজ ভোরে তিনি পালিয়ে গেছেন।
    এবিষয়ে ডুমরা রামকৃষ্ণ আখ্ড়ার কর্তা গুরুচরন দাস মোহন্তের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি পালিয়ে আসিনি, আখ্ড়ার দুটি ঘরে গতকাল সন্ধ্যায় তারা তালা মেরেছে এবং আমার অনুপস্থতিতে আমার রাধা রানী আরতী দাস বৈষ্ণবীকে অনেক গালমন্দ করেছে ও আজ সকালে আমাদেরকে বেইজ্জত করে আখ্ড়া থেকে বের করে দেবার হুমকি দিয়েছে। তাই আমরা ইজ্জতের ও প্রাণের ভয়ে আজ সকালে সুনামগঞ্জ এসেছি। তিনি আরো বলেন, গতকাল তারা আখ্ড়ায় তালা মারার পর আমি শাল্লা থানা পুলিশের সহায়তার আখ্ড়ায় যাই ও রাত্রি যাপন করি।
    এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কর্তাকে দুই কেদার জমি দিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করেছিলাম, পরে আর কেউ আমার কাছে আসেনি। আমি বাইরে আছি, স্টেশনে এসে কি হয়েছে দেখবো।

    আরও খবর

    Sponsered content