প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৪:১৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
স্মরণ সিং, স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজারঃ
মৌলভীবাজার জেলা শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাল্টিপারপাস সোসিও ইকোনোমিক ডেভেলাপমেন্ট এসোসিয়েশন( এমসিডা) ও ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট( আইআইডি) যৌথ আয়োজনের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি অফিস হলরুমে ২৮’ শে আগষ্ট সকাল ১০:৩০ ঘটিকা হতে দুপুর ১:০০ ঘটিকার পর্যন্ত প্রাইমারি স্কুলে স্কুল বাজেটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাগরিকের অংশগ্রহণ উদ্দ্যোগে টাউনহল সভার আয়োজন করা হয়েছে। টাউনহল সভার মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, অভিভাবক প্রতিনিধি, সচেতন নাগরিক,এলাকার যুব, স্টুডেন্ট কেবিনেট মতামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে স্কুল চাহিদা ভিত্তিক বাজেট পেশ, বাজেট প্রণয়ন তৈরী করা,স্লীপ বাজেট,ইউপেপ বাজেট সম্পর্কে অবগত করা, ক্যাম্পেইন করা,কাউন্সিলিং, উঠান বৈঠক, পুরুষ ও মহিলার অংশগ্রহণ মতামত পরামর্শ জোর গ্রহণ করা, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী উন্মুক্ত বাজেট উপস্থাপন করা ও তা জাতীয় পর্যায়ে পেশ করা।
অতিথিবৃন্দ ও অংশগ্রহণকারিদের মাঝে প্রজেক্টর স্লাইডের মাধ্যমে স্কুল বাজেট প্রণয়নে নারী পুরুষ জরিপের বিভিন্ন তথ্যসমুহ তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বলেন এমসিডা ও আইআইডি টাউনহল মিটিং এর মাধ্যমে প্রাইমারি শিক্ষাকে বাস্তবমুখী গবেষণা কার্যক্রম লক্ষ্যে আমাকে সম্পৃক্ততা করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। স্বাধীনতার পূর্বের কথা যদি বলি সেখানেও শিক্ষা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন বাঙ্গালী জাতির পথ প্রদর্শক,স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমি যে সময় স্কুলে পড়াশোনা করেছি তখনকার স্কুলের পরিবেশ, উন্নয়ন বর্তমানে অনেক উন্নত। আমার স্কুলের সময় আমি গাছতলায় পড়াশোনা করেছি। বর্তমানে বিশ্বে উন্নয়নের সাথে সাথে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে যার ফলে মানুষের দিন দিন চাহিদা প্রত্যাশা বাড়ছে। আর চাহিদা প্রত্যাশা বাড়ার সাথে সাথে আয় ব্যয়ের হিসাব বাড়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৪২ টি চা বাগান রয়েছে আর প্রতিটি চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে যার অবদান আমাদের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ডক্টর মো: আব্দুস শহীদ এমপি মহোদয়। ৪২টি চা বাগানের মধ্যে মাত্র ২টি বিদ্যালয়( সোনা ছড়া,খাইছড়া চা বাগান) সরকারি করণ হয় না কারণ ঐ দুই এলাকার দুই ব্যক্তির হাই কোর্টে মামলা করেছেন। তার জন্য নতুন বিদ্যালয় নির্মাণ স্থাপন করা যাচ্ছে না। ঐ দুই ব্যক্তি এলাকার জন্য কলঙ্ক। তিনি আরও বলেন সরকার বাজেট করেন আগে বাজেট করা হত ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে এখন বাজেট করা হয় আপনার আমার টাকায়। শিক্ষা উন্নয়নে শিক্ষা খাতে বাজেট প্রাইমারি বিদ্যালয়,মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকার কর্তৃক বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে সাংবিধানিক অনুসারে প্রাইমারি বিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে অবৈতনিকভাবে শিক্ষা প্রদান করার নীতিমালা আইন প্রণয়ন করা হয়। জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়, চাকুরীর জন্য শিক্ষা নয়। শিক্ষা হলো ভাল মন্দ যাচাই-বাছাই পথে চলার জন্য আর চাকুরী হলো নিজের জীবন জীবীকা বাঁচার জন্য। কিন্তক চা বাগানের কিছু চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন শিক্ষা গ্রহণ করে কোন চাকুরী পাই না এটা আসলেই খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। বাংলাদেশ আয়তনের ছোট বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ এখানে অনেক প্রতিযোগিতা থাকবে স্বাভাবিক। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জনগণের তৃণমূলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাব। এটা সাধারণ মানুষের কাছে আমার কথা পৌঁছে দিবেন। আমাদের উপজেলায় কালিঘাট চা বাগান নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়া চা বাগানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ এর কাজ চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বহুদুর। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বনির্ভর দেশ,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার জন্য বহুদুরের পরিকল্পনা পরিকল্পিত বাস্তবায়ন করার কাজ চলমান রয়েছে।
পরিশেষে আরও বলেন প্রাইমারি বিদ্যালয় এগিয়ে গেলে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে যাবে। মূখ্য ভূমিকা, অভিভাবক প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক, সচেতনতামূলক, বাজেটে সকলকে সম্পৃক্তা সভা সমাবেশ করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ ব্যবস্থা নির্দেশ প্রদান করা হবে।
এমসিডার প্রধান নির্বাহী তহিরুল ইসলাম মিলন সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিশ রন্জন দাশ, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জহির আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এনজিও কর্মী,অভিভাবক, সচেতন যুব, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রমূখ।
আইআইডি গবেষণা পক্ষে ঢাকা হতে মোঃ জারিফ হোসেন ও তানভীরুল ইসলাম নামে দুই গবেষক প্রজেক্টর স্লাইডের মাধ্যমে সরাসরি গবেষণা বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ও কথা বলেন।