• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    তানোরে সভাপতির সমর্থকদের হামলায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজন গুরুতর আহত

      প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:০৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোর প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগের নব গঠিত সভাপতির সমর্থক রা মাতাল অবস্থায় ও জমির পূর্ব বিরোধের জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাসহ তিনজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রবিবার বিকেল প্রায় ৪ টার দিকে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির) ইলামদহী গ্রামে ঘটে হামলার ঘটনাটি। আহতরা হলেন ইলামদহী গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র হারুন তার ভাই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আব্দুল হালিম ও মামাতো ভাই একই গ্রামের মৃত আব্বাসের পুত্র খাইরুল ইসলাম। আহতরা বর্তমানে মাথায় পায়ে সেলাই ব্যান্ডিজ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন রয়েছেন।
    জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত শনিবারে। সম্মেলনে পাচন্দর ইউপি কে দুভাগে বিভক্ত করে সভাপতি সম্পাদক করা হয়। পাঁচন্দর উত্তরের সভাপতি করা হয় আলহাজ্ব ইসরাইল হোসেন কে। তার বাড়ি ইলামদহী গ্রামে। সভাপতি হওয়ার আনন্দে রবিবার দুপুরে খাসি জবাই করে গ্রামের লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের খাওয়ান। সেখানে হিজড়া নরতকি ও ব্যান্ড পার্টি ডিজে নাচগান করেন।
    এদিকে ইলামদহী গ্রামের হাজী ইসরাইলের ইয়ারজানের পুত্র মাতাল রজদুল, রুবেল ও ইয়ামিন জমির পূর্ব বিরোধের জের ওই গ্রামে আহত হালিমের পুত্র কে একা পেয়ে মারধর শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে ও পাকুয়া হাটে যাওয়ার সময় হারুন ও হালিম এবং খাইরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে রজদুল ও তার ভায়েরা দেশীয় অস্ত্র হাসু বল্লম দিয়ে মারপিট শুরু করেন। তারা আহত অবস্থায় পড়ে থাকলে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
    হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে হালিমের মাথার দু জায়গায় সেলাই দেওয়া হচ্ছে ও মারাত্মক আহত খাইরুলের মাথায় পায়ে সেলাই শেষ করে ব্যান্ডিজ দেয়া থাকলে রক্ত বের হচ্ছিল। বাহিরে ডান হাতের কনুইয়ে আঘাত নিয়ে বাহিরের ব্রেঞ্চে কাতরাচ্ছেন।
    সাথে আসা মহিলারা ও পুরুষরা বলেন, হাজী ইসরাইল সভাপতি হওয়ার কারনে ডিজে নাচগান ও খাসি দিয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। তারা মারপিট হত্যা করবে এমন সংবাদ ও হালিমের ছেলেকে মারার বিষয়গুলো সভাপতি হাজি ইসরাইলকে বলতে গেলে তিনি তাড়িয়ে দেয়। এমনকি ঘর থেকে বের হননি। তিনি যদি কথা শুনতেন এবং বের হতেন তাহলে মারপিট হতনা। কারন রজদুলেরা হাজীর লোকজন। চোলাইমদ সেবন করে যে হাজী হিজড়া নরতকি এনে নাচগান করে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট করতে পারে তার লোকজন হামলা করাটাই স্বাভাবিক। সে যদি সভাপতি না হত তাহলে রজদুলেরা এত সাহস পেত না। বিশেষ করে খাইরুল ও হালিমকে মেরে ফেলার জন্য হাসুয়া ও বল্লম দিয়ে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। হাসপাতালের চিকিৎসক রা বলছেন পরিক্ষা নিরিক্ষা না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। পুলিশ হাসপাতালে এসেছিল। রাতে থানায় অভিযোগ করা হবে।
    নব নির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব ইসরাইল হোসেন বলেন, দলীয় লোকজন ও গ্রামের যুবকরা জেদ ধরেছে খাসি দিয়ে খাওয়া দাওয়া করবে এবং আনন্দ উল্লাস করবে। এজন্য নাচগান সামান্য ভাবে হয়েছে। মারপিটের বিষয়টি অজানা।সন্ধ্যার পরে শুনেছি। আপনার লোক রোজদুলরা তারাই মেরেছে চারটার দিকে আর আপনি শুনছেন সন্ধ্যার পরে জানতে চাইলে তিনি জানান বাড়িতে ছিলাম তো এজন্য বলে এড়িয়ে যান তিনি।
    রোজদুল জানান, তারা বেশি বাড়াবাড়ি করেছে, সভাপতির লোক আমরা উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে আগামীতেও দেওয়া হবে বলে দাম্পত্য দেখান তিনি।
    থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     

    আরও খবর

    Sponsered content