• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে ১৪৪ ধারা জারীর পর থানায় বিবাদীদের মিথ‍্যা অভিযোগ দায়ের

      প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:৫৭:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

    যশোরের অভয়নগরে ১৪৪ ধারা জারীর পর থানায় বিবাদীদের নামে মিথ‍্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাপাশহাটি গ্রামে ৩ জনকে বিবাদী করে এ অভিযোগ করা হয়।
    আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী দুলাল হোসেন ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার মৃত সায়েব আলী ফকীরের মেয়ে সেলিনা পারভীনের নিকট থেকে কবলা ১১৩৫/২০১৯ নং দলিল মূলে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে মালিক হন। পরবর্তীতে নিজ নামে নামজারী কেস নং ৪৩২৪/৯-১/২০১৮-১৯ এর আদেশ বলে ২১২নং পৃথক খতিয়ানে নামপত্তন করেন। গত ১২ আগষ্ট’২৩ শনিবার সকাল ৯.৩০ টায় কাপাশহাটি গ্রামের মৃত সায়েব ফকীরের ছেলে কথিত প্রফেসর পরিচয়দানকারী স্থানীয় সন্ত্রাসী সালাম ফকীরের(৫২) ইন্ধনে জাহান ফকীর(৫০), রকিব উদ্দিন ফকীর(৪৪), মাদক ব‍্যবসায়ী জামাই আকতার(৪২), দর্জি জহুরের ছেলে ড্রাইভার শিমুল(৩২) অজ্ঞাত ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দুলালের জমি দখল করতে যায়। খবর পেয়ে জমি দেখাশোনাকারী মোস্তাক আহমেদ(৪৮), সানি(২৫), স্থানীয় আজিম চৌধুরী(৪৫) উল্লেখিত বিবাদীদের বাধা দিলে তারা ক্ষেপে উঠে এবং যে কোন প্রকারে জমি দখল করে বিপুল ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
    এ বিষয়ে মামলা করলে অতিরিক্ত জেলা ম‍্যাজিষ্ট্রেট আদালত, যশোর কর্তৃক জারিকৃত মামলা নং পি- ১০০৪\২৩, স্মারক নং- ২২৪৬, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় তাং ২০.০৮.২৩ তারিখে অফিসার ইনচার্জ অভয়নগর থানাকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন‍্য ব‍্যবস্থা নিতে বলা হয়।
    মামলার বিষয়টি জানতে পেরে বিবাদীরা অভয়নগর থানায় দূলালের জমি দেখাশোনাকারী মোস্তাক, সানি, আজিম চৌধুরীর নামে চাঁদাবাজি ও হত‍্যা হুমকির অভিযোগ এনে অভয়নগর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
    স্থানীয় ও দলিল সূত্রে জানা যায়, বাদী দুলাল চৌধুরী ২০১৯ সালে আরএস ১১৯, ১২০ খতিয়ানে ১৫ শতক জমি ক্রয় করেন যার মধ্যে আরএস ১১৮ দাগে ৪০ শতকের মধ্যে ০৩৮৯ শতক, আরএস ১৮২ দাগে ৩৫ শতকের মধ্যে ০১৯১ শতক, আরএস ১৮৩ দাগে মোট ৬৩ শতকের মধ্যে ০৩৪৪ শতক জমিসহ অবশিষ্ট জমি ক্রয় ও নামপত্তন সূত্রে প্রাপ্ত হন। ১৮৩ দাগে ২০২০ সালে রিয়াজ উদ্দিনের নিকট থেকে ৬.৮৮ শতক ক্রয় করেন উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মুজাহিদ এবং সেখানে রিয়াজ উদ্দিনের ক্রয় করা ৪.৪২৫ শতক জমি অবিক্রিত থেকে যায় যেখানে সন্মিলিতভাবে কলাগাছের চাষ করা হয়। ২০২২ সালে সালাম ফকীর ঐ একই দাগে বিক্রিত জমি সীমানা দেখিয়ে উপজেলার কাপাশহাটি গ্রামের আজমেরীর কন‍্যা শিউলী বেগমের কাছে ৬.৮৮ শতক জমি বিক্রয় করে দেয়। আজমেরী গং জমি দখলে নিতে গেলে প্রকৃত জমির মালিক আবেদন করলে আদালত সেখানে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন।
    এ বিষয়ে ২নং বিট পুলিশ অফিসার এসআই মিজান বলেন, বিতর্কিত জমিতে আদালতের আদেশক্রমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content