• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজনীতি

    রাজশাহী-১ আসনে অপ্রতিরোধ্য এমপি ফারুক চৌধুরী

      প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১২:৪৫:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সারোয়ার হোসেন,তানোর:

    অপ্রতিরোধ্য এমপি ফারুক চৌধুরী, তীল তীল করে দলকে যে কোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে ইতিপূর্বেই সক্ষমতা দেখিয়েছেন, প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এমপি ফারুক চৌধুরী। সেটা অকপটে স্বীকার করছেন বিরোধীরাও। কারন হিসেবে বলছেন দুই উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন সম্মেলন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেছেন। সম্মেলনের কমিটি গঠন নিয়ে নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। নিজ দলের ধারা তথ্য বিভ্রাটের স্বীকারও হতে হয়েছে।তারপরও কোন দিকে কর্নপাত না করে সংগঠন কে গতিশীল করতে নিয়োমিত সম্মেলন করেই যাচ্ছেন। গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন নেতৃত্ব। নতুন নেতৃত্ব কে দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে সম্মেলন চলছে। প্রতিদিন ৮/১০ টি করে ওয়ার্ড সম্মেলন হচ্ছে নেতাকর্মীরা আনন্দে উল্লাসী সম্মেলন সম্পন্ন করছেন। যা জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজ দলকে এক নতুন রুপে গঠন করে চমক সৃষ্টি করেছেন ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত জেলার অন্যতম আসন রাজশাহী -১( তানোর-গোদাগাড়ী)র এমপি সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সম্পাদক এবং সাবেক শিল্পপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বাত্মক ভাবে প্রস্তুত।ফলে দিনের দিন দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অতীতের যে কোন সময়ের গতিশীল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
    জানা গেছে, চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে তানোর উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই মাসে কলমা, কামারগা, তালন্দ ও সরনজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো আগস্ট জুড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তানোর পৌরসভা ও পাচন্দর, বাধাইড় এব চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন করা হয়। প্রতিটি সম্মেলনে এমপি প্রধান অতিথি থেকে সবার মতামতের ভিত্তিতে কমিটি ঘোষনা করেন। শুধু তানোর না গোদাগাড়ীর দুটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনে সবচেয়ে বড় চমক ছিল বৃহত্তর ইউনিয়ন গুলোকে দুভাগে বিভক্ত করে কমিটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন এমপি ফারুক চৌধুরী। কারন যা কখনোই কেউ কল্পনাও করেন নি। এক ইউনিয়ন কে বিভক্ত করতে গিয়ে এমপি বিরোধীরা প্রচুর সমালোচনা করেন। কিন্তু এমপি কোন সমালোচনায় কর্নপাত না করে দলকে শক্তিশালী করতে যা প্রয়োজন সেটাই করেছেন তিনি। অতীতে যেমন সেচ্ছাসেবক লীগের তেমন কার্যক্রম ছিল না। অথচ এমপি দুটি পৌরসভা সাত ইউনিয়ন ও ৮১ টি ওয়ার্ডের কমিটি করে নতুন রুপ দিয়েছেন। এছাড়াও মহিলা যুবলীগ ও কৃষকলীগেরও তেনম কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। কিন্তু ইউপি ওয়ার্ড পর্যন্ত যুব মহিলা লীগের কমিটি দিয়েছেন। প্রতিটি সম্মেলন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে ওয়ার্ড কমিটি গঠন চলছে। এক কথায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কে বিজয়ী করতে ঢেলে সাজিয়েছেন সংগঠনকে। এটা অকপটে শিকারও করছেন এমপি বিরোধীরাও।
    এমপি বিরোধী এক জনপ্রতিনিধি বলেন, যে কোন সময়ের চেয়ে এমপি দলকে প্রচুর শক্তিশালী করেছেন, এটা নিয়ে কেউ দ্বিমত করলে সে রাজনীতির কিছুই বুঝেনা। ফারুক চৌধুরী বলে দুই উপজেলা মিলে ১৬ টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছেন, এটা বিশাল ব্যাপার। কোন রকম হট্টগোল ছাড়াই কমিটি গঠন করা চারটিখানি ব্যাপার না। আমার রাজনৈতিক জীবনে এভাবে প্রকাশ্যে এত ২০ টি ইউনিটের সম্মেলন ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি বিগত ২০০৮ সাল থেকে এমপি হিসেবে আছেন। কোন দালাল মাস্তান তৈরি করেননি এটাও তানোর গোদাগাড়ীর রাজনীতিতে ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি এক ইউনিয়ন কে দুভাগে ভাগ করেছেন এটা বুঝতে হবে বিগত ১৫ বছরে অনেক নেতাকর্মী তৈরি করেছেন। সংগঠন কে আরো গতিশীল করেছেন। আমার দৃঢ বিশ্বাস এমপি যতদিন সুস্থ বা রাজনীতির মাঠে থাকবেন তার মত নেতাকে কখনোই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাকেই মনোনায়ন দিবেন। কারন তার বিকল্প নেতা তৈরি হয়নি।
    তানোর পৌরসভার নব নির্বাচিত সম্পাদক আবুল বাসার সুজন বলেন, তিনি প্রায় প্রতিদিন রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত মিটিং করে শহরের অফিসে রাত ১/২ টা পর্যন্ত নেতাকর্মী দের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলে আলাপ চারিতা। এমপির ভিতরে মহান আল্লাহ তায়ালা এত ধৈর্য দিয়েছেন কল্পনাতীত। মাঝেমাঝে আমরা বিরক্ত হলেও তার মাঝে কোন বিরক্ত নেই।
    ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক কৌশল বিরোধীরা চিন্তাও করতে পারবেন না। তিনি দু মাসের মধ্যে দুই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সম্মেলন করে বুঝিয়ে দিলেন দলকে কিভাবে শক্তিশালী করতে হয়,কিভাবে নেতৃত্ব তৈরি করতে হয়। কারন কোন নেতা পদ পেয়ে যদি মনে করেন আমি সব কিছু। সেই নেতৃত্ব কিভাবে পরিবর্তন করতে হয় সেটা এমপি ভালোভাবেই জানেন।
    তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে অল্প সময়ের মধ্যে সব ইউনিয়নের সম্মেলন শেষ করতে পারবেন আমরাও হতবাক। তিনি এমন একজন নেতা সেটা তানোর গোদাগাড়ীর আপামর জনতা বুঝতে পেরেছে। কারন তার দ্বারাই অযথা কেউ হয়রানির শিকার হন না। মনোনায়ন তাকে ছাড়া দিবে কাকে। তাকে বাদ দিয়ে যাকে দিবে সে কি ফারুক চৌধুরীর মত নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপির আতুর ঘর হিসেবে পরিচিত সেটা ভাঙ্গতে পারবেন, দল তো সেদিক বিবেচনা করবেন। আর ফারুক চৌধুরী মনোনায়ন নিয়ে ভাবেন না তার কথায় অনেকের মনোনায়ন হয়। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পাবেন এবং এমপিও নির্বাচিত হবেন বলে আমাদের দৃঢ বিশ্বাস।

    আরও খবর

    Sponsered content