• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    কুতুবদিয়ায় জনারণ্যে যেন পাখির অভয়ারণ্য

      প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:২১:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আজিজুলহক(আজিজ)কুতুবদিয়া:

    জনারণ্যে যেন পাখির অভয়ারণ্য। কথাটা অবাস্তব হলেও সত্যি।সন্ধ্যা থেকে সারারাত কিচির-মিচিরে মুগ্ধ প্রকৃতি। বাতাসে ভাসে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির রাজ্যের সব কথামালা। কোনো বন বা পার্ক নয় এমনকি চিড়িয়াখানাও নয় তবুও দেখা মেলে হাজারো পাখির। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুং কাচাঁ গ্রামে।পাখিগুলো অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নিয়েছে এ গ্রামটিকে।বাড়ি ভর্তি গাছ গাছালি,আছে বাঁশ ঝোপঝাড়, গাছের শাখা প্রশাখায় হরেক প্রজাতির পাখির মেলা বসেছে।এলাকার আশপাশের গাছে বসে থাকার অসাধারণ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান অনেকে। পাখিগুলোর খাবার-দাবার আহরণে দিকবিদিক ছুড়ে,সন্ধ্যায় ঠিক সেই সময় তাদের ক্ষুধা নিবরন করে চলে আসে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হাজারো পাখির আপন ঠিকানায়।

    পাখির কিচিরমিচির শব্দে প্রশান্ত মন। গ্রামে প্রবেশের অনেক দূর থেকেই ভেসে আসে হাজারো পাখির কিচিরমিচির শব্দ। পাখির এ কলকাকলিতে মুখরীত পুরো গ্রামটি। প্রতিদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে গ্রামবাসীর।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের পুকুর পাড়ে বাঁশ ঝাড়ে অভয়াশ্রম হিসেবে বসবাস করছে পাখিগুলো। এমনিভাবে গ্রামের আরো কয়েকটি স্থানে নিবিড় বন-জঙ্গলের মতো অভায়শ্রম গড়ে তুলেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।

    পাখির কিচিরমিচির শব্দে আর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে আছে গ্রামটি। এসব পাখি স্বাচ্ছন্দ্যে গাছে বিচরণ এবং ঝাঁকে-ঝাঁকে ডানা মেলে উড়ে চলছে ইচ্ছেমতো। গত তিন -চার বছর থেকে উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপদ আশ্রয়ে যেন পাখিগুলো নির্ভাবনায় স্হানীয় চেয়ারম্যান আলা উদ্দীন আল আযাদের বাড়ী গাছে আবাস গড়ে তুলেছে। থাকার জন্য খড়কুটা দিয়ে বাসা বেঁধেছে। অনেক পাখি ডিম দেয়া শুরু করেছে এবং অনেকে বাচ্চাও ফুটিয়েছে। বিশেষ করে বিকালে ও ভোরে কিচির-মিচির শব্দে জানিয়ে দেয় তাদের সরব উপস্থিতি। পাখিদের কিচির মিচিরে মুখরিত হয়ে উঠে চারিদিক। এখানে দেখা মিলছে বিভিন্ন ধরনের জ্যাঠা বক, কানি বক, পানকৌড়ি, বাদুড়,রাতচোরা, ডাহুক, দোয়েল, ঘুঘু, শালিক, বাবুইসহ নানান জাতের দেশীয় পাখি।

    ওই গ্রামের মানুষেরাও প্রকৃতিপ্রেমী। পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকে পাখি রক্ষায় নানা উদ্যোগও নিয়েছেন তারা। গ্রামের ভেতরে কোন গাছ কাটা ও উচ্চ শব্দে আওয়াজ করাও নিষিদ্ধ। তবে প্রতি বছর বর্ষায় প্রচণ্ড ঝড়, বৃষ্টির ও বাতাসের ফলে প্রায় কয়েক হাজার পাখির ডিম নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক পাখির বাচ্চাও মারা যায়।

    স্থানীয়রা জানান, প্রথমে এসব পাখির শব্দ ও বিষ্ঠা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও এখন সব সয়ে গেছে। গ্রামের সবাই পাখির প্রতি মমতাশীল। বাঁশ ঝাড়ের নিচে পুকুর থাকলেও পাখিরা কোন মাছ খায় না। সারাদিন বাহিরে চরা করে বিকালে বাসায় ফিরে। তখন বেশি দেখা মেলে। যখন আকাশে উড়ে মনে হয় আকাশ মেঘ ভাসছে।

    পাখি গুলি দেখতে ঢাকা থেকে একদল পাখি প্রেমী গ্রামে এসেছিলেন।তারা বলেন, পাখির কলকাকলিতে মুগ্ধ সবাই। এক সঙ্গে এতো বেশি পাখি দেখার কখনো সৌভাগ্য হয়নি। স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ ক্যামেরায় ছবি তুলেছেন তারা। পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এই পাখি প্রেমিরা।

    আরও খবর

    Sponsered content