• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে একজন সেনা সদস্যের অবৈধ কারবার,অতঃপর

      প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:০৯:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের নূর ইসলাম ওরফে ছোট মোল্লা(৪২) নামের একজন সেনাবাহিনীর সদস্য প্রায় এক যুগ ধরে উপজেলার সোনাতলা গ্রামে গড়ে তুলেছেন তার অবৈধ কারবার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি সেনাবাহিনীর সিভিলে চাকুরী করেন, বর্তমানে তার কর্মস্থল ঢাকা। সে তার গ্রামে কাঠ পুঁড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লি বানিয়ে ব্যবসা করেন যা সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বেআইনি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হলেও ওই সেনাবাহিনীর সদস্য দেদারছে ওই অবৈধ কারবার করে চলেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার ভাই জিয়া মোল্লা একজন ইউপি সদস্য এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত থাকার কারণে তারা দুই ভাই ওই অবৈধ চুল্লি কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। কয়েক দফা ওই সব চুল্লি পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রসাশন ধ্বংস করে দিলেও তারা তাদের ক্ষমতার জোর খাঁটিয়ে বার বার চুল্লি গড়ে তুলে ওই অবৈধ কারবার করে চলেছেন। এলাকার সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ করলেই ওই সেনা সদস্য বিভিন্ন প্রাননাশ ও জেল-জুলুমের হুমকি দেওয়ার কারণে কেউ ভয়ে মুখ খোলেনা বা প্রতিবাদ করেননা। ওই সেনা সদস্য হলেন উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মোঃ সামছুর মোল্লার ছেলে। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সেনা সদস্যের সোনাতলা এলাকায় নদীর কোল ঘেঁষে বড় বড় ৬টি কাঠ পুঁড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লি গড়ে তোলা আর প্রায় কয়েকশো মন কাঠ একজায়গা করা চুল্লি গুলোতে আগুন এবং ধোঁয়া উড়ছে, যে ধোঁয়ায় মানুষের শরীরে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ বাসা বাধে। ফলে গত ৯সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রসাশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে অবৈধ চুল্লী গুলো ধ্বংস করা হয়। একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারির এহেন কাজ মেনে নিতে পারেনি এলাকাবাসী। ফলে জরুরি ভাবে ওই সেনাবাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
    এবিষয়ে ওই অবৈধ চুল্লি তৈরিকারি সেনা সদস্য নূর ইসলাম ওরফে ছোট মোল্লা মুঠোফোনে অবৈধ চুলা তৈরি করে অবৈধ ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, অনেকে ওই ব্যবসা করছে দেখে আমিও করেছি, এর পর ওই ব্যবসা বন্ধ করে দেবো আপনারা আমার কোন ক্ষতি করবেননা। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, সেনা সদস্য কি ভাবে এই অবৈধ চুল্লি ব্যবসার সাথে জড়িত হল, এব্যাপারে ডিসি স্যারকে রিপোর্ট করবো তিনি যে ব্যবস্থা নিবেন তাই হবে আমি প্রতিবেদনে পাঠিয়ে দিবো।

    আরও খবর

    Sponsered content