• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    বগুড়ায় ৫০ বছরে রাস্তা না বাড়লেও যানবাহন বেড়েছে কয়েক শত গুণ

      প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:০০:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    সজীব হাসান, স্টাফ রিপোর্টর:

    উত্তর জনপদের কেন্দ্রবিন্দু বগুড়া শহরের যানজট কিছুতেই কমছে না। বরং বাড়ছেই। সাতমাথা কেন্দ্রিক এই শহরের যেখানেই যাওয়া হোক না কেন সাতমাথা প্রেরিয়ে যেতে হচ্ছে, আর এ কারণে শহরে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে দাড়িয়েছে। বাড়ি থেকে বের হলেই যানজটের কথা মাথায় নিয়ে বের হচ্ছেন শহরবাসি। যানজটে হাপিয়ে যাওয়া এই শহরের মানুষ এখন অতিষ্ট। ট্রাফিক বিভাগের কোন তৎপরতাই কাজে আসছে না। বিকল্প একাধিক রাস্তা না থাকাকে যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন শহরে মানুষ। দু‘শ বছরের এই শহরে রাস্তার সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি। শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বনানী থেকে মাটিডালী এবং সাতমাথা থেকে তিনমাথা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা হলেও অন্যতম প্রধান সড়ক গুলো এখনো দু‘শ বছর আগেকার অবস্থানে রয়েছে। শহরে মানুষ এবং যান বাহনের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি চলাচলের পথ। ১৯৭০ সালে মহান স্বাধীনতার আগ মহুর্তে বগুড়ায় শহরের আয়তন প্রায় এ রকমই থাকলেও যান বাহন সংখ্যা ছিলো হাতে গোনা কয়েকটা। বগুড়া পৌরসভা, বিআরটিসি এবং বগুড়া বাস মিনিবাস এবং ট্রাক মালিক সমিতির তৎকালীন তথ্য অনুযায়ী ১৯৭০ সালে বগুড়ায় বাস ছিলো ৭০টি। ট্রাক ১৫, অটো রিকসা (বেবি ট্যাক্সি) ৬৫ টি, রিকসা ৬শ টি এবং গরুর গাড়ি ছিলো ৫৭টি। এর প্রায় ১৮ বছর পর ১৯৮৭/৮৮ সালে বগুড়ায় বাস ছিলো ১৯০টি। মিনিবাস ৩৯৮টি, ট্রাক ৪শ টি, অটো রিকসা(বেবি ট্যাক্সি) ৯৭ টি, প্যাডেল রিকসা ৫০০৭ টি, রিকসা ভ্যান ১০০৮টি এবং গরুর গাড়ি ছিলো ৭২টি। গত শতাব্দীর শেষের দিকে ১৯৯৯ সালে বগুড়ায় বগুড়ায় বাস ছিলো ১৯০ টি, মিনিবাস ৪০০টি, ট্রাক ৭শ’ টি, অটো রিকশা (বেবি ট্যাক্সি) ৭০৫ টি, রিকশা ৫৩৩৬ টি, রিকশা ভ্যান ৫২০০টি এবং এতদিনে বগুড়া শহর থেকে গরুর গাড়ি উঠে গেছে।
    বর্তমানে প্রতিটি যান বাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে বগুড়ায় বাস মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ২হাজার। সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনসহ এবং ছাড়া প্রায় ১৫ হাজার, ব্যাটারি চারিত ৫ সিটের অটো রিকশা ২ হাজারেরও বেশি, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা প্রায় ২৫ হাজার এবং ভ্যান রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। প্রতিদিনই যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না রাস্তা। ফলে এত পরিমাণ গাড়ি শহরের কেন্দ্র বিন্দু সাতমাথায় যানজটের সৃষ্টি করছে। প্রতিদিন এ দৃশ্য চোখে পড়বেই, দুর্ভোগের শিকার হতে হভে অবসম্ভাবীভাবেই। তিনদিন ছুটি থাকার পর গতকাল অফিস আদালন, স্কুল কলেজ খোলায় বগুড়া শহরের যানজট য়াবহ রূপ নেয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্র সাতমাথাই শুধু নয়, সাতমাথা সন্নিহিত সকল সড়কেই যানজটের শিকার হয়ে শত শত যানবাহন আটকে থাকায় গোটা বগুড়া শহরই স্থবির হয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ। যানজট নিরসনের কার্যকর কোন ব্যবস্থায় নেওয়া হচ্ছেনা পৌরসভার পক্ষ থেকে। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগও হিমশিম খাচ্ছে এই ভয়াবহ সময়গুলোতে। শহরের শহীদ আব্দুল জোব্বার সড়কের ইয়াকুবিয়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে শুরু করে জেলখানার মোড় পর্যন্ত দিনমান যানজট থাকছে। এই এলাকায় কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন শো রুম হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। আবার শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় থেকে কালীতলা পর্যন্ত যানজট হচ্ছে। আবার সান্তাহার রোড, রেল ঘুমটি থেকে চারমাথা পর্যন্ত সড়ক, স্টেশন রোড, গোহাইল রোড, চেলোপাড়ায় যানজট নিত্যদিনের বিষয় হয়ে গেছে। ইতোপূর্বে বগুড়া পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ রিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নম্বর দেওয়া এবং রিকশা রং করার পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content