প্রতিনিধি ৭ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:০২:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
সজীব হাসান, স্টাফ রিপোর্টর:
বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গত ৪ দিনের প্রবল বর্ষণ ও অবিরাম বৃষ্টিতে গোবিন্দপুরের প্রায় ২ শতাধিক বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পুরকীর্তি জাগ্রত শিব মন্দিরটির আংশিক ভেঙ্গে গেছে। আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভেঙ্গে পড়া ধ্বংসস্তুপগুলো অপসারণের জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম পাশে গোবিন্দপুর পাকা রাস্তার ধারে প্রচীনতম এই শিব মন্দিরটি অবস্থিত। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ জায়গার উপর ২ শতাধিক বছর আগে এই শিব মন্দিরটি স্থাপিত হয়। কালের আবর্তে শিব মন্দির সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা বেদখল হয়ে যায়। মন্দির চত্বরে আগে ধুমধাম করে দুর্গা পূজাসহ বিভিন্ন পূজা উৎসব পালিত হতো। এখন আর তা হয় না। তবে এখনো প্রতি বছর মন্দিরের সামনে ভিড় করে লক্ষ্মী পূজা হয়ে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে মন্দিরটি সংস্কারের কোন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায় নি।
তবে স্বাধীনতার পর ঢাকা ও মহাস্থান জাদুঘর থেকে লোক এসে অনেক মূল্যবান মূর্তি নিয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের মুসলধারে বৃষ্টিতে প্রাচীন এই শিব মন্দিরটির পূর্ব এবং উত্তর পাশের সামনের অংশ ধ্বসে পড়ে। সেই সাথে পশ্চিম অংশে হেলে যায়। শিব মন্দিরটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে গোবিন্দপুরের রাস্তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সহ দুঘর্টনার আশংকাও রয়েছে। খবর পেয়ে আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপম দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার দাস, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছোটন চক্রবর্ত্তীসহ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে শিব মন্দির এলাকাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিব মন্দিরের পাশে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় শিব মন্দিরের ভেঙ্গে যাওয়া ধ্বংস স্তুপগুলো অপসারণসহ মন্দিরটি রক্ষার করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব উত্তম কুমার কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিব মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলার আইনগত কোন সুযোগ নেই।